রাতাবাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের গণ সচেতনতা সভায় ব্যাপক সাড়া
বরাক তরঙ্গ, ২০ জানুয়ারি : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের দলের জয় সুনিশ্চিত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। শাসক দল বিজেপিকে উৎখাত করতে ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠন করা হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের অন্যতম শরিক দল হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বরাক উপত্যকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন দলের অন্যতম নেত্রী তথা শিলচর প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বদরুল ইসলাম বড়ভূইয়া।
এ মর্মে শনিবার বিকালে রাতাবাড়ি বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা আইনজীবী রসিদ আহমেদের পৌরোহিত্যে এক বিরাট গণ সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বদরুল ইসলাম বড়ভূইয়া বক্তব্যে রাখতে গিয়ে বলেন, বিশেষ সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব কমিয়ে একটি সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব বাড়াতে ডিলিমিটেশনের অঙ্কে ক্ষমতাশীনরা হতচকিত ভাবে বরাকের দুটি কেন্দ্রের বিলুপ্তির নামে ঘৃন্য রাজনীতি করছে। ডিলিমিটেশনকে মাথায় রেখে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে এটাকে হিটলারি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন তৃনমুলের নেতারা। তাদের কথায় ডিলিমিটেশন কার্যকর করা হলেও জগণের মতামত নেওয়ার নৈতিক দায়িত্ব ছিল ডিলিমিটেশন কমিশনের।
ডিলিমিটেশন পর এবার পুনরায় এনআরসির ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্থ বিশ্ব শর্মা। কিন্তু জনগণ বিজেপির এসব ভাওতাবাজিতে কান দিচ্ছেন না। ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার তাগিদে জনগণ ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে গা ভাসিয়ে দিতে শুরু করেছেন। ফলে সমাগত চব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি সরকারের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে বর্তমানে জাতপাতের রাজনীতি করছে।এধরণের রাজনীতি গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য ক্ষতিকর।
বিজেপি সরকার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ক্ষুণ্ণ করে চলেছে। দেশের বতর্মান পরিস্থিতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব।এদিনের এই সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, পরিমল রায়,আব্দুল বাছিত, মওলানা দিনার আহমেদ, মনছুর আহমেদ, দীননাথ শুক্লবৈদ্য, মওলানা আব্দুস সত্তার, মওলানা মেহবুব আহমেদ, জয়নুল আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।