গুয়াহাটিতে বিশাল বিদ্যুৎ গ্ৰাহক সমাবেশ, স্মারকপত্র প্রদান

বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর : গুয়াহাটির লক্ষীধর বরা ক্ষেত্রে‌ অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমাৰ্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি রোধ, প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহার ও বিদ্যুত খণ্ডের বেসরকারিকরণের চক্ৰান্ত বন্ধের দাবিতে এক বিশাল বিদ্যুৎ গ্ৰাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার গ্রাম, শহর ও  প্ৰত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের থেকে উপরোক্ত দাবির সমৰ্থনে স্বাক্ষর সংগ্ৰহ করা হয়। এই অভিযানে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দাবিতে জনগণের লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকপত্র সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য, জিতেন্দ্র চালিহা, শিশির কাকতি এবং কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির অন্যতম সদস্য ও ইয়াসি’র সভাপতি সঞ্জীব রায় এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রদান করেন।

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকপত্র প্রদান____

শুক্রবার বিদ্যুৎ গ্ৰাহক সমাবেশের মুখ্যবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমাৰ্স অ্যাসোসিয়েশনের কাৰ্যকরী সভাপতি সমর সিংহ। বিদ্যুৎ গ্ৰাহক আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা অজিত আচাৰ্যের সভাপতিত্বে পরিচালিত সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এপিডিসিএল’র অবসরপ্রাপ্ত ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিমল দাস। সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য, অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমাৰ্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র প্রবীণ সদস্য  নিৰ্মল কুমার দাস, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র ও কোর্ডিনেশন কমিটি’র অন্যতম কার্যকরী সদস্য অরিন্দম দেব প্রমুখ। সমাবেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি বন্ধ করা, প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহার করা ও বিদ্যুৎ খণ্ডের বেসরকারিকরণের চক্ৰান্ত বন্ধের দাবিতে শক্তিশালী প্ৰতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্ৰস্তাব গৃহীত হয়।

গুয়াহাটিতে বিশাল বিদ্যুৎ গ্ৰাহক সমাবেশ, স্মারকপত্র প্রদান

মুখ্যবক্তার ভাষণে সমর সিংহ বলেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে দেশপ্ৰেমিক চেতনা ও জাগরণ গোটা দেশে তৈরি হয়েছিল এর চাপে সেদিন জল ও অক্সিজেনের মতো আধুনিক জনজীবনের অপরিহাৰ্য প্ৰয়োজন হিসেবে গ্ৰাহকদের ক্ৰয়ক্ষমতার মধ্যে বিদ্যুতের মাশুল সীমাবদ্ধ রাখার প্ৰতিশ্ৰুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সরকার অত্যাবশ্যকীয় সেবা হিসেবে বিবেচিত ও জনসাধারণের ট্যাক্সের টাকায় গড়ে উঠা বিদ্যুতের বিশাল পরিকাঠামো ব্যক্তি মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্ৰ করছে। সরকারের এই চূড়ান্ত জনবিরোধী নীতি ও চক্ৰান্ত প্রতিহত করতে তিনি প্ৰতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বিমল দাস এপিডিসিএল’র অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং জনগণের অর্থ লুন্ঠনের যন্ত্র প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করান। নির্মল কুমার দাস তার বক্তব্যে বলেন যে বিদ্যুতের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে, কর্পোরেটদের স্বার্থে সরকার এই অধিকার খর্ব করতে চাইছে।

Author

Spread the News