১৬ নভেম্বর : রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের ‘সংখ্যালঘু অমুসলিম’ ঘোষণার দাবিতে ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন থেকে ৬ দফা ঘোষণা করা হয়।
শনিবার মহাসম্মেলন থেকে এই ঘোষণা পত্র পাঠ করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইসলাম ধর্মের মৌলিক আকিদা ‘খতমে নবুয়ত’কে অস্বীকার করার কারণে কাদিয়ানীরা মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে ইসলাম বহির্ভূত কাফের বা অমুসলিম। তাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে অবিলম্বে এই ঘোষণা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সৌদি আরব, মিসর, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও ধর্মীয় স্কলারদের উপস্থিতিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো দ্বিনী ও তৌহিদী জনতার ঢলে সংগঠনটি এই দাবি জানায়।
খতমে নবুওয়তের এই মহাসম্মেলনে বক্তরা বলেন, ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ হিসেবে খতমে নবুওয়তের আকীদা গুরুত্বপূর্ণ। যারা তা মানে না, তাদের ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পরিচিত করা উচিত। কাদিয়ানীরা ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের ধারাকে গ্রহণ করে না। তাই কাদিয়ানীদের আর মুসলমান বলা যায় না। তাদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা বাংলাদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন আস্তানা তৈরি করেছে এবং এদের কার্যক্রম দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।
আলেম-উলামারা বলেন, দেশের সংবিধান ও সেক্যুলার রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে এ ধরনের ধর্মীয় দাবিগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে খতমে নবুওয়তের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন করতে হবে।
খাতমে নবুওয়ত আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দাবিটি তাদের দীর্ঘদিনের নীতিগত অবস্থান এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। সরকার এটিকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্য সংখ্যালঘুরা যেভাবে শান্তিতে বসবাস করছে, কাদিয়ানীরাও অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে এদেশে বসবাস করবে। মুসলমানরা তাদের নিরাপত্তা দেবে।


