বাঁধ নিয়ে জল সম্পদ বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্চ ফর সায়েন্সের

বরাক তরঙ্গ, ১২ মার্চ : মার্চ ফর সায়েন্স, শিলচর চাপ্টারের পক্ষ থেকে বর্তমানে বরাক নদীর বন্যা প্রতিরোধে নেওয়া ব্যবস্থা, রাঙ্গিরখালের গার্ড ওয়াল তৈরি, কাড়ারপাড় ও বাংলা ঘাটের স্লুইস গেট নির্মাণ ইত্যাদি কাজ সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জল সম্পদ বিভাগের আধিকারিকদের সাথে উন্নত মানের নির্মাণ কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে বরাক নদীর ভাঙ্গা বাঁধ নির্মাণ, বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ভাঙ্গা স্লুইস গেট মেরামত ও বাংলা ঘাটের কাছে নতুন আর একটি স্লুইস গেট নির্মাণ, বরাক ও ঘাগরা নদী খনন, রাঙ্গিরখাল, লঙ্গাইখাল ও সিঙ্গিরখালের আদি গভীরতা পর্যন্ত খনন সহ বন্যা প্রতিরোধের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে গত বছরের জুলাই মাস থেকে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত ১০ মার্চ সংগঠনের আহ্বায়ক কৃষাণু ভট্টাচার্য, আশু পাল, কমল চক্রবর্তী ও হিল্লোল ভট্টাচার্য অ্যাসিস্টেন্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত পালের সঙ্গে কার্যালয়ে দেখা করে সম্প্রতি সোনাবাড়িঘাট থেকে তোপখানা পর্যন্ত নদী বাঁধে চালানো সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে সেগুলো মেরামতির জন্য নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে।

সেদিন দেবব্রত পালের সঙ্গে আশু পাল ও কমল চক্রবর্তী বেরেঙ্গা, ভাগাডহর এলাকার বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে গতবছর ভয়াবহ বন্যার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অক্টোবর মাস থেকে বাঁধের কাজ শুরু করা হবে কিন্তু টালবাহানা করে শেষপর্যন্ত জনগণের তীব্র চাপে ফেব্রুয়ারির শেষে বাঁধের কাজ যদিও শুরু হয় কিন্তু মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথমে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে বর্ষার আগে উপযুক্ত গুণমাণ বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। ফলে গতবছরের মতোই বরাকের প্রবল স্রোতে দুর্বল বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে কিছুদিন আগে আর টি আই করে গতবছর বাঁধ সংস্কারে যে টাকা ব্যয় হয়েছিল তার তথ্য বের করা হয়। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে টাকা বরাদ্দ হলেও উন্নত মানের কাজ গতবছর কিছুই হয়নি। ফলে এবছর সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজের গুণগত মান তদারকি করতে সরকারি আধিকারিক ছাড়াও শহরের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার সহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে জল সম্পদ বিভাগের কার্যনির্বাহী অভিযন্তার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সাথে লাগাতার যোগাযোগ রেখে উন্নত মানের কাজের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরা হচ্ছে। সংগঠন আশংকা ব্যক্ত করে যে কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় উপযুক্ত মান বজায় রাখা সম্ভব হবে না।

এছাড়াও বাঁধের কাজে নদীর পলি মাটি ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বারবার উত্থাপিত হওয়া সত্ত্বেও এখনও তা একইভাবে চলছে। বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণের সামগ্রী উন্নত মানের প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নিকট সংগঠনের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উত্থাপন করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণে যদি কারোও মেয়াদী পাট্টার জমির প্রয়োজন হয় তাহলে সরকারি নিয়ম মেনে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষার আগে শহরের তিনটি প্রধান খাল সহ নালা, নর্দমাগুলো সাফাইয়ের জোরালো দাবি উত্থাপন করা হয়।

Author

Spread the News