সপ্তাহদিন ধরে মণিপুরে নিখোঁজ কাছাড়ের দুই চালক সহ লরি, ধরনা জন্ডু কন্সট্রাকশন কার্যালয়ে
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ৯ জানুয়ারি : শিলচর থেকে সড়ক নির্মাণ সংস্থা জন্ডু কন্সট্রাকশনের সামগ্রী নিয়ে রওয়ানা দেয় দু’টি ডাম্পার। পশ্চিম তেমেংলং-এর মান্ডুতে সামগ্রী পৌঁছে ফেরার পথে ডাম্পার সহ নিখোঁজ হন দুই চালক। ডাম্পার দু’টির চালক যথাক্রমে পূর্ব ধলাইর কচুদরম থানা অধীন গঙানগর চতুর্থ খণ্ডের বাসিন্দা সফর উদ্দিন লস্করের ছেলে রিজুল হক লস্কর এবং লক্ষীপুরের জিরিঘাট থানা অধীন লক্ষীছড়া ফরেস্ট ভিলেজ দ্বিতীয় খণ্ডের বাসিন্দা মসদ্দর আলির ছেলে নাসির উদ্দিন। লরি দু’টির নম্বর হল এএস ১১সিসি ৩৪৭৬ এবং এএস ১১ ৩৬৯১। দুই চালকের পরিবার জন্ডু কন্সট্রাকশনের ধলাইর কাটাখাল কার্যালয়ে বিষয়টি অবগত করাতে গেলে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়।
অবশেষে বাধ্য হয়ে তারা কার্যালয়ের সামনে ধরনায় বসেন। জন্ডু কন্সট্রাকশনের কর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা না বলে ধলাই পুলিশকে অবগত করান। ধলাই পুলিশের এসআই ধর্মেশ্বর ডেকা সদলবলে সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। জন্ডু কন্সট্রাকশনের কর্মীরা নিজের দায় এড়াতে নিখোঁজদের খোঁজে বের করতে এজাহার দায়ের করার পরামর্শ দেন। তবে পুলিশ এবিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি কেজিএন ট্রান্সপোর্টের অধীনে দুই চালক লরি চালাতেন এবং ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিটি জন্ডু কন্সট্রাকশনের সামগ্রী বোঝাই দিয়ে মণিপুরে পাঠায়। এবং ফিরে আসার পথে জন্ডু কন্সট্রাকশনের লরি চিহ্নিত করে কোনও দুষ্কৃতী দল হয়তো তাদেরকে অপহরণ করেছে। তাদেরকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অন্যদিকে জন্ডু কন্সট্রাকশনের এইচআর জয়ন্ত সিনহার সঙ্গে ফোনযোগে কথা বললে তিনি জানান, এবিষয়টি তাদের আওতায় নয়। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।