বরাকের লুপ্তপ্রায় লোকগান গুলিকে তুলে ধরার প্রয়াস লোকমঞ্চের

বরাক তরঙ্গ, ১৭ অক্টোবর : দেবী পক্ষের সূচনায় সম্মিলিত লোকমঞ্চের মাসিক লোককণ্ঠ অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে এক আগমনী সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিলচর পার্ক রোডে থাকা শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ঢাক বাজিয়ে যা অনুষ্ঠানকে অন্য পর্য্যায়ে নিয়ে গেছে।উল্লেখ্য শনিবার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পীরা একক গান, সোলো গান, আগমনী গান, ধামাইল গান তথা নৃত্য পরিবেশন করেন গোটা অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে তুলেন। শিল্পী মনোবিনা দাস, রত্নেশ্বর নাথ, অম্বরীশ পাল, সংযুক্তা চৌধুরী, মাম্পি চৌধুরী, প্রেমেশ দাস, হার্ষিতা নাথ, কৃষ্ণ দাস, স্বপন দাস এবং সৌগত শর্মার কন্ঠে পরিবেশিত হয় বিভিন্ন গান। 

সম্মিলিত লোকমঞ্চ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শিলচরে____

এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আকাশবানী শিলচর কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোজকান্তি দেব। তিনি বলেন, “আজকের প্রজন্মের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বরাকের লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরার যে প্রয়াস করছেন তা একটা ইতিবাচক দিক বলে আমি মনে করি”। মনোজবাবু বলেন, সবচেয়ে বড় যে কথাটা সেটা হচ্ছে দুর্গোৎসব বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এমন একটা দিনে মাসিক লোককণ্ঠের অঙ্গ হিসাবে আগমনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যে দিন থেকে দেবীপক্ষের শুরু এবং এটা আমার মনে রেখাপাত করেছে। তিনি বলেন বরাকের লুপ্তপ্রায় লোকগান গুলিকে তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন নতুন শিল্পীদের গান পরিবেশন করার একটা প্রেটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে সম্মানিত লোকমঞ্চ যা অদূর ভবিষ্যতে নব প্রজন্মের শিল্পীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। লোকশিল্পী মনোরঞ্জন মালাকার, অনিমেষ দেব, মঙ্গলা নাথ-দের ভূয়শী প্রশংসা করে তিনি বলেন, বরাকের লোক সংস্কৃতির বাঁচিয়ে রাখতে ঐসব শিল্পীরা সম্মিলিত লোকমঞ্চের ব্যানারে থেকে যেভাবে প্রচার প্রসার ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তা সত্যিকার অর্থে প্রশংসার যোগ্য। 

এদিকে সম্মিলিত লোকমঞ্চের সভাপতি ড০ অনুপকুমার রায় বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। নারীরা এগিয়ে আসলে সমাজ তথা দেশ এগিয়ে যেতে পারে। মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য লোকসভায় বিল পাশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। নারী সবকিছু পারে তার উদাহরণ তুলে ধরে আগমনী অনুষ্ঠানকে সফল রূপ দিতে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য ও ঝিমলি নাথের অনবদ্য অবদানের কথা তুলে ধরেন লোকমঞ্চের সভাপতি। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকার লোক সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সম্মিলিত লোকমঞ্চের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাংস্কৃতিক সম্পাদক কানাইলাল দাস সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি রসরাজ দাস, সহসভাপতি পিনাক পানি নাথ, শ্যামল নাথ, মনোরঞ্জন মালাকার, অনিমেষ দেব, গৌতম সরকার, শান্তনু রায়, সম্মিলিত লোকমঞ্চের সহ সাধারণ সম্পাদিকা ঝিমলি নাথ, যুগ্ম সম্পাদিকা অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, রাজশ্রী নাথ, জুয়েল নাথ, জয়শ্রী নাথ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লোকমঞ্চের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদিকা সপ্তমিতা নাথ। 

Author

Spread the News