শাকসবজির অগ্নিমূল্য ! সরব হোক প্রশাসন

বরাক তরঙ্গ, ১০ জুলাই, সোমবার,
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে শাকসবজি দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল। একই ভাবে চালের মূল্য বাড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষ জীবন নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। যাদের সীমিত আয় বিশেষ করে এসব পরিবার হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবার গুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। কিন্তু সরকার মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নানা পরামর্শ দিচ্ছে।

এ দিকে, ৮০ টাকার কম কোনো সবজি নেই। কাঁচামরিচ চার-পাঁচশো টাকা কেজি। আলু ত্রিশ টাকা, পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। মশলাপাতি, ইত্যাদির দাম বেড়ে গেল হঠাৎ করে। বরাক উপত্যকা বহির্জেলা এবং ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের ওপর নির্ভরশীল। এবছর এমন বন্যা হয়নি যে, সবজি পচিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। খারুপেটিয়া, হাতিখাল, নগাঁও থেকে বরাক উপত্যকায় সবজি আসত। ত্রিপুরা থেকেও সবজি আসে, কিছুটা আসে মেঘালয় থেকে। এবছর খারুপেটিয়ার সবজি বলতে গেলে আড়তদারেরা নিয়ে আসছে না। বলা হচ্ছে, মেঘালয়ের সোনাপুরের ধসের কথা। ধস তো পরিষ্কার করে সড়কে চলাচল শুরু হয়ে যায়। তবে কেন নিয়ে আসা হচ্ছে না পর্যাপ্ত সবজি। শুধুমাত্র ত্রিপুরা এবং স্থানীয় সবজির ওপর নির্ভর করেই চলতে হচ্ছে।

সবজিতে সিন্ডিকেট শুরু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একদিন যে সবজি প্রয়োজন, এর এক-তৃতীয়াংশ আমদানি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায়। না। বাজারে প্রশাসনিক কোনো নিয়ন্ত্রণ চোখে পড়ে না। আলুর দাম বরাক ব্যতীত অন্য কোথাও বাড়েনি। এ থেকেই তো অনেক কিছু বোঝা যায়। ব্যবসায়ীরা এখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের খুব কাছাকাছি। তাই প্রশাসনের কর্তারা আপসের পথে!

বরাক উপত্যকায় মাছ এবং সবজি নিয়ে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। প্রশাসন কঠোর ভূমিকা নিক। জনপ্রতিনিধিরাও সক্রিয় হয়ে উঠুন। ধান চাষে লাভ হয় না, সবজি চাষের দিকে মানুষকে আকর্ষিত করতে ব্যবস্থা নিক কৃষি বিভাগ।

Author

Spread the News