ত্রিদীপকুমার গোস্বামীর লেখা পুস্তকের উন্মোচন
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ অক্টোবর : “অসম এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যের সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের প্রতি নজর” ইংরেজি পুস্তকটি উন্মোচিত হল। শুক্রবার শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে এনই পাবলিশার্সের কার্যালয়ে ত্রিদীপকুমার গোস্বামীর লেখা তথ্যভিত্তিক Glempses To the cultural studies of Assam and Nothestaran state (অসম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যের সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের প্রতি নজর) ইংরেজি পুস্তকটি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা.বিভাস দেব, জনতা কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণ অসম প্রান্ত প্রচারক গৌরাঙ্গ রায়, কাছাড় কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক চন্দন দে, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অনুপ কুমার দে, এনই বুক পাবলিশিয়ার্সের কর্ণাধার আশিস হালদার প্রমুখ।
এদিন পুস্তকটি উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রথমে স্বাগত বক্তব্যে এনই বুক পাবলিশিয়ার্সের কর্ণাধার আশিস হালদার বলেন, যে কোনও বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন অজানা তথ্য। তেমনি এই বইয়েও তথ্য রয়েছে। তিনি এনই বুক পাবলিসিয়ার্সের সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সৃষ্ঠি হয় এবং বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় ২৫০টির অধিক পুস্তক প্রকাশ করেছেন, তাঁদের প্রকাশনীর প্রধান কার্যালয় শিলচরে হলেও সাব ডিভিশন অফিস রয়েছে গুয়াহাটি ও দিল্লিতে এবং তাঁদের পাবলিসিয়ার্সের প্রকাশিত হওয়া পুস্তকগুলি অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টে পাওয়া যায়। কিন্তু বরাকের যোগাযোগের ব্যবস্থা বেহাল থাকার জন্য সঠিক সময়ে যেকোনো কিছু এখানে এসে পৌঁছতে প্রচুর বিঘ্ন ঘটে,সঙ্গে পাঠকের সংখ্যা ক্রমশঃ কমে আসায় প্রকাশনীর ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি দেখা দিচ্ছে।
লেখক ত্রিদীপ কুমার শর্মা বলেন, আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-ভাষা ও খাদ্য ও চাল-চলন এই বিষয়গুলোকে সমৃদ্ধ করে তথ্যভিত্তিকভাবে এই পুস্তকটিতে তুলে ধরার প্রয়াস করেছেন,যে কোনো জাতির ইতিহাস আছে,সেই ইতিহাসটিকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে লেখকদের, তবেই আমাদের দেশে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতির বিষয়ে জানতে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মানুষেরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণ আসাম প্রান্ত প্রচারক গৌরাঙ্গ রায় বলেন, লেখক ত্রিদীপ কুমার শর্মা ও এনই বুক পাবলিশিয়ার্সের কর্ণাধার আশিষ হালদার মহাশয়দের প্রয়াস সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বসবাসকারী জাতিদের কৃষ্টি ও কালচারের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরাটা এক বিরাট কঠিন কাজ,তবে অনেকাংশে সফল হয়েছেন লেখক ত্রিদীপ কুমার শর্মা, আমাদের দেশটি বিচিত্র হলেও দেশের মানুষের মধ্যে একতা রয়েছে, এই রকম একতাপূর্ণ মনোভাবে দেশ পৃথিবীর অন্য দেশ নাই।বইটি পড়লে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঠকমহল বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাছাড় কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক চন্দন দে, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক বিভাস দেব, জনতা কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অনুপ কুমার দে, আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব, শুভ্রাংশু শেখর ভট্টাচার্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন বিজিয়েতা হালদার ও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক চয়ন ভট্টাচার্য সহ এই অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।