মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুকে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে কুমন্তব্য, গ্রেফতার যুবক

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি। 
বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : অসম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও পাথারকান্দির জনপ্রতিনিধি মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের নামে সামাজিক মাধ্যমে অহেতুক কুমন্তব্য, অপমানজনক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিমূলক এআই–ভিডিও তৈরি করে প্রচার করার অভিযোগে বাঙালি ভাই ফেসবুক পেজের স্বত্বাধিকারী অজয় দাসকে আটক করেছে বাজারিছড়া থানার পুলিশ।

সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বাজারিছড়া থানার একটি বিশেষ টিম সীমান্তঘেষা বালিপিপলা জিপির বালিপিপলা গ্রামে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে অজয় দাসকে আটক করে। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পাথারকান্দি কেন্দ্রের বিজেপি যুব মোর্চার পদাধিকারীরা সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে অজয় দাস তাঁর ‘বাঙালি ভাই’ নামক ফেসবুক পেজ থেকে নানা এআই–এডিটেড ভিডিও, মিথ্যা তথ্য ও কটূক্তি প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছিলেন। এসব পোস্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন অপমানজনক মন্তব্য করা হয়, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।অভিযোগ ওঠে, অজয় দাস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে সচেষ্ট ছিলেন। পাথারকান্দি ও লোয়ারপোয়া মণ্ডল যুব মোর্চার সদস্যরা বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এমন কর্মকাণ্ড সমাজের শান্তি–শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার সমান এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা।পরবর্তীতে যুব মোর্চার পক্ষ থেকে পাথারকান্দি ও বাজারিছড়া—দুই থানাতেই পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার সকালে পুলিশ অজয় দাসকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক হওয়া ব্যক্তিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর ফেসবুক পেজে প্রচারিত কনটেন্ট, ব্যবহৃত ডিভাইস এবং সম্ভাব্য সহযোগীদের বিষয়েও তদন্ত চলছে। এ প্রতিবেদনের শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অজয় দাস এখনও বাজারিছড়া থানায় পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। স্থানীয় মহলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রবণতা রুখতে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *