খানাপাড়া ভেটেরিনারি কলেজে অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কৃষ্ণেন্দু পালের
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ জুলাই : তরুণ প্রজন্মের উদ্দীপনায় জেগে উঠল জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অনন্য মিলনমেলা। মঙ্গলবার গুয়াহাটির খানাপাড়া কলেজ অব ভেটেরিনারি সায়েন্স-এর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল এক প্রাণবন্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ মতবিনিময় সভা। রাজ্যের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই সভায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ববৃন্দ, কলেজের অধ্যাপকগণ এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।এই বিশেষ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন—ড. বিসি ডেকা, উপাচার্য, অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড. বিএন শইকিয়া, ডিন, ভেটেরিনারি সায়েন্স কলেজ, খানাপাড়া ড. পি বরা, গবেষণা পরিচালক (ভেটেরিনারি), অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এমএস মনিভানন, আইএএস, কমিশনার ও সচিব, পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগ, অসম সরকার অনিল চন্দ্র দেওরি, এ.সি.এস., পরিচালক, পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগ ড. দিব্যজ্যোতি হাঁসে, পরিকল্পনা কর্মকর্তা, পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ, তাদের জিজ্ঞাসা এবং অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও আধিকারিকদের সুচিন্তিত মতামতের আদান-প্রদানে গোটা অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে এক গঠনমূলক ও মননশীল মঞ্চ। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা এই প্ল্যাটফর্ম যেন তরুণ চিন্তার সঙ্গে অভিজ্ঞতার এক যুগলবন্দি।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, অসমের পশুসম্পদ, কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠী এবং সামগ্রিক গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে একটি শক্তিশালী ও বৈজ্ঞানিক পশুচিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই মতবিনিময় সভা আমাদের সেই লক্ষ্যে অঙ্গীকারকে আরও মজবুত করে তুলেছে তিনি আরও বলেন, আজ আমি নিষ্ঠাবান অধ্যাপক ও উদ্যমী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যে গভীর ও ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তরুণ চিন্তাশক্তি ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মিলনে অসমে একটি আধুনিক, দক্ষ ও টেকসই পশুচিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা, মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের নেতৃত্বে, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জানা গেছে এদিনের আলোচনায় উঠে আসে—আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ গবেষণাভিত্তিক পশু চিকিৎসার প্রসার দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর উপায় এই মতবিনিময় সভা নিঃসন্দেহে পশুচিকিৎসা খাতকে সুসংগঠিত ও ভবিষ্যতমুখী করে তুলতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্বের দিকনির্দেশনায় অসমে পশু কল্যাণ ও গ্রামীণ উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
