কিশোর ভট্টাচার্যের “বাক্ পুষ্পমাল্যম” বই উন্মোচন
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ নভেম্বর : শিলচর পার্ক রোডের সঙ্গীত বিদ্যালয়ের মুকুন্দদাস-কালিকাপ্রসাদ স্মৃতিমঞ্চে লেখক কিশোর ভট্টাচার্যের সনাতন ধর্মীয় রীতি-নিয়ম সহ আরও অন্যান্য তথ্যভিত্তিক লেখা বাক্ পুষ্পমাল্যম বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করলেন শিক্ষাবিদ ড. সুখময় ভট্টাচার্য, কবি-সাংবাদিক-লেখক অতীন দাশ, রমা নাগ পুরকায়স্থ, ক্ষৌণিশ চক্রবর্তী, অমলেন্দু চক্রবর্তী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. বিশ্বতোষ চৌধুরী প্রমুখ।
এদিন বইটি উন্মোচনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এক আলোচনা সভার শুরু ককঘ হয় মাঙ্গলিক পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে। এর সৌমিত্র আচার্য্যর জগদ্ধাত্রী স্ত্রোত্র পাঠ ও উদ্বোধনী সঙ্গীত নীলাক্ষ চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সপ্তমিতা নাথ। পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত গ্ৰন্থের প্রেক্ষিতে বক্তব্য পেশ করেন লেখক কিশোর ভট্টাচার্য, তিনি সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থের বিস্তৃত ব্যাখ্যা করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও মুখপাত্রে প্রকাশিত লেখাগুলো নিয়ে এই গ্রন্থটি, এতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম শাস্ত্রীয় সম্পর্কে, বেদের কথা, রয়েছে মনুর কথা, তোর বোনের তাৎপর্যয়ের কথা। দ্বিতীয় বিভিন্ন প্রবন্ধ, তৃতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা উনার লেখা এবং স্মৃতি কথা নিয়ে লেখা। এরপর দুইটি নিত্য পরিবেশন করেন নিক্কন সমাজে সংস্থার শিশু শিল্পীরা। সুখময় ভট্টাচার্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিভিন্ন যুগে কাব্য ও গ্ৰন্থের কথা তুলে ধরেন। অতীন দাশ বলেন, একটি বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে প্রচুর অজানা তথ্য,বই পড়লে সবাই উন্নত হবে,বই পড়ার অধিকার সবাইর রয়েছে, তিনি মাতৃভাষাকে সম্মান জানানো সহ বই পড়তে আহ্বান জানান।
রমা নাগ পুরকায়স্থ বক্তব্যে, লেখক কিশোর ভট্টাচার্যের বলতে গিয়ে ভূয়াসী প্রশংসা করেন এবং বলেন লেখকের বইটি পড়লে পাঠকেরা বহু অজানা বিষয় জানতে পারবেন। বিশ্বতোষ চৌধুরী বলেন, কিশোর ভট্টাচার্য একজন অমায়িক ব্যবহারের মানুষ,উনার লেখায় ফুটে এসেছে অমায়িকতা, তিনি একজন বই প্রেমিক ব্যক্তি, তিনি বইয়ের মূল্য জানেন।একটি বই কেবলমাত্র বই নয়, এই বইটি হলো লেখকের জীবনের অনুসন্ধান ও অভিজ্ঞতা, বই জ্ঞানের আধার,মনের আনন্দ। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্ষৌণিশ চক্রবর্তী, অমলেন্দু চক্রবর্তী প্রমুখ।