তদন্তের নির্দোষ প্রমাণিত, খুলল ভাঙ্গার আসাম মেডিক্যাল হল
বরাক তরঙ্গ, ৬ ডিসেম্বর : শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সিল করে দেওয়া ভাঙ্গার আসাম মেডিক্যাল হল দীর্ঘ দশ মাস পর পুনরায় চালু হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ভাঙ্গায় একথা জানালেন অসম মেডিক্যাল হলের কর্ণধার ইসলাম উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন ফার্মাসিটি বন্ধ করে দেয়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলা আয়ুক্তের নির্দেশ ক্রমে ফের চালু হয় ফার্মাসিটি। এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বলেন, গত জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখে একটি শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক ডিজিটাল মিডিয়া ইসলাম উদ্দিনকে শিশু হত্যাকারী সাজানোর চক্রান্তমূলক সংবাদ পরিবেশন করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করা ও ভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে হেনস্থা করে ফার্মাসিটি বন্ধ করানো। এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সংবাদ মাধ্যমটি মখই ভাঙ্গার নিকটস্থ কান্দি গ্রামের গুলজার আলম নামের এক শিশুর মৃত্যুকে ইস্যু বানিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে। অথচ শিশুটির মা-বাবা কিংবা পরিবারের কারো পক্ষ থেকে এ রকম কোনও অভিযোগ ফার্মাসি মালিকের বিরুদ্ধে ছিল না বলে তিনি জানান। তবে ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন তার ফার্মাসি সহ বাসভবন ও তার ভাই জামাল উদ্দিনের ঘর সিল করে দেয়।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দীর্ঘ তদন্তের পর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর তারিখে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আসাম মেডিক্যাল হল পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসলাম উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, শিলচর মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্ট মতে ২০ জানুয়ারি গুলজার শিলচর মেডিক্যাল কলেজে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তবে একদিন গুলজারকে ফার্মাসিতে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা এবং এখান থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে যান। চক্রান্তকারীরা তার দোকান বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে বলে জানান ইসলাম উদ্দিন। করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তারপর ফার্মাসিটি প্রশাসনের তরফ থেকে খুলে দেওয়া হয়। এই কয়েক মাসের মধ্যে বিরাট আর্থিক ক্ষতি ও সেইসঙ্গে তার মানহানি হয় বলে ক্ষোভের সুরে জানান। ভূয়া প্রচার করে তাকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তিনি আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন যাতে করে তিনি সুবিচার পান।