শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক! আত্মসাৎ করা বন্যাত্রাণ উদ্ধার কাটিগড়া পুলিশের

বরাক তরঙ্গ, ১৬ জুলাই : পূর্ব কাটিগড়ার তারিণীপুর ১ম খণ্ড থেকে সরকারি ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করল কাটিগড়া পুলিশ। তৃতীয়বারের বন্যায় কাটিগড়ার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় সরকারি ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হয়। কিন্তু কিছু অসাধু সরকারি শিক্ষক সাধারণ মানুষকে ত্রাণসামগ্রী না দিয়ে গোপন আস্তানায় রেখে অন্যত্র বিক্রি করার পরিকল্পনায় ছিলেন। সাধারণ মানুষকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাহাকার করতে হয়েছে। অনেক গ্রামে সরকারি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেনি। সাধারণ মানুষ বহু অভিযোগ করেন কাটিগড়ার সার্কল অফিসার রবার্ট টোলের কাছে। তারিণীপুর তৃতীয় খণ্ডের বহু মানুষ কাটিগড়ার সার্কল অফিসারকে স্মারকপত্র প্রেরণ করেন। এমনকী ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করা নিয়ে মারপিট, মামলা পর্যন্ত হয়েছে। বন্যা আসলে কারও পৌষমাস আবার কারও সর্বনাশ। এমনই এক কাণ্ড ঘটে গেল পূর্ব কাটিগড়ার তারিণীপুর প্রথম খণ্ডে। সোমবার এক অভিযান চালিয়ে কাটিগড়া থানার এসআই এল চিংচাং গোপনে রাখা সরকারি ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

তারিণীপুর প্রথম খণ্ডের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী তাজিয়া বেগমের ঘর থেকে এই সরকারি ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬ বস্তা চাল, ৫ বস্তা ডাল ও ৩ কার্টন তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে গত রবিবার এই ত্রাণসামগ্রীর তদন্তে নামে কাটিগড়া পুলিশ। অবশেষে সোমবার তাঁরা সাফল্য পায়। এদিন বিকালে তাজিয়া বেগমের ঘর থেকে ত্রাণসামগ্রী উদ্ধারে গোটা পূর্ব কাটিগড়ায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। সরকারি ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও কাউকে আটক করা হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছেন সরকারি শিক্ষক সহ আরও চার ব্যক্তি।

শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক! আত্মসাৎ করা বন্যাত্রাণ উদ্ধার কাটিগড়া পুলিশের

জানা গেছে, গত ৬ জুলাই কাটিগড়া সার্কল অফিস থেকে রিসিভ করে এই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসেন এক শিক্ষক। কিন্তু যথারীতি বণ্টন না করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশে তাজিয়া বেগমের ঘরে গোপনে মজুত রাখেন শিক্ষক সহ অন্যরা। বারবার জেলাশাসক রোহনকুমার ঝা কাটিগড়ায় এসে বলেন, বন্যার সময় ত্রাণসামগ্রীগুলো সঠিক ভাবে বণ্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন কাটিগড়া সার্কল অফিসার রবার্ট টোলেকে। কিন্তু একাংশ অসাধু শিক্ষক সাধারণ মানুষের ত্রাণ সামগ্রীগুলো সঠিক বণ্টন না করে ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ সচেতন থাকার ফলে ত্রাণসামগ্রীগুলো বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

Author

Spread the News