নকলকাণ্ড : সুপারভাইজিং অফিসারের ওপর হামলাকারী দুই ছাত্র সহ করণিক আটক
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মার্চ : কাটিগড়ার গণিরগ্রাম জেআর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত শিলচর জিসি কলেজের শিক্ষক সুভাষ দেবনাথের উপর হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে। সঙ্গে আটক করা হয়েছে স্কুলের করণিক হানিফ আলম মাঝারভূইয়াকেও (৩৯)।
আটক দুই পরীক্ষার্থী হল বড়খলা বুড়িবাইল দ্বিতীয় খণ্ডের ইমদাদ উল্লাহ বড়ভূইয়া (১৯) এবং কাটিগড়ার দুধপুর প্রথম খণ্ডের বিলাল আহমদ বড়ভূইয়া (১৮)। এর মধ্যে ইমদাদ জেআর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলেরই পড়ুয়া এবং বিলাল ইস্ট কাটিগড়া সিনিয়র হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের। দু’জনেই এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে জেআর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কেন্দ্রে।
পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজে দুই হামলাকারীর যে ছবি দেখা গেছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে আটক দুই পরীক্ষার্থীর। আর ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের সঙ্গে করণিক হানিফেরও সংযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার গণিরগ্রাম স্কুল কেন্দ্রে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সুপারভাইজিং অফিসারের ডিউটি সেরে বাইকে চড়ে শিলচরে ফেরার পথে সুভাষবাবুর উপর হামলা চালানো হয়। একটি বাইকে চড়ে পিছু ধাওয়া করে এসে তোপখানা এলাকায় দুই যুবক তাঁর উপর হামলা চালায়। সুভাষবাবু ওইদিন পরীক্ষা চলাকালীন কড়াকড়ি করায় যারা নকল করতে চাইছিল, তারা তা করতে পারেনি। কয়েকজনকে নকল করার সময় হাতেনাতে ধরাও হয়। এর জেরেই তাঁর উপর এভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে দুই পরীক্ষার্থী ইমদাদ উল্লাহ এবং বিলাল আহমদ সহ করণিক হানিফকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জেলা কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অসম কলেজ শিক্ষক সংস্থার কাছাড় ইউনিট। সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা কমিশনারকে এক স্মারকপত্র পেশ করা হয়েছে। এতে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা সহ সরকারি কর্তব্যে নিযুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদানেরও দাবি জানানো হয়েছে।