বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা ঝাড়খণ্ডের টাইগারের
২৯ আগস্ট : মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভা ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়লেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তিনি দল ছাড়ার কারণ লিখিত আকারে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনকে। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম যে ভাবে চলছে, তাতে তাঁর মতো পুরনো সৈনিকেরা অপমানিত। সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অনগ্রসর, দলিতদের নানান অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন চম্পই। তাহলে কি তিনি জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন? উঠেছে প্রশ্ন।
বুধবার শিবু সোরেনকে চিঠিতে চম্পই লিখেছেন, ‘‘আজ আমি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাথমিক সদস্যপদ এবং সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী, দলিত, অনগ্রসর এবং সাধারণ মানুষের ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যাব।’’ সূত্রের খবর, ৩০ অগাস্ট অর্থাৎ শুক্রবার চম্পই রাঁচীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন।
চম্পই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ঝাড়খণ্ডে তিনি ‘টাইগার’ নামেই পরিচিত। তাঁর রাজনৈতিক গুরু শিবু সোরেন। এই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী গেরুয়া শিবির। চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। আর ভোটের আগেই চম্পইয়ের যোগদান পদ্ম-শিবিরকে শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। সেই সময় গ্রেপ্তারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। সেই সময় হেমন্তের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলান চম্পই। গত ২৮ জুন জামিনে হেমন্ত মুক্তি পান। তার পরেই চম্পইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে সরিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। ৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে নয়া মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইকে ঠাঁই দিয়েছিলেন হেমন্ত।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ