বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সিইও কার্যালয় ঘেরাও জলমিত্রদের

হিবজুর রহমান, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৯ মে : রাজ্য সরকার জল জীবন মিশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাঁরা দিনরাত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সেই জল মিত্ররাই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। বহু আবেদন আন্দোলন করেও নিট ফল শূন্য। বৃহস্পতিবার আবারও সারা আসাম পিএইচই অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সম্পাদক বাপন নমঃশুদ্রের নেতৃত্বে কাছাড় জেলার জলমিত্ররা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে এক স্মারকপত্র প্রদান করেন কাছাড় জেলা পরিষদের সিইও এর কাছে। কিন্তু সিইও দেখা করতে পারবেন না বলে জানানো হয় তাদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কাছাড় জেলা পরিষদের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন বসেন জলমিত্ররা। পরে বাধ্য হয়ে সিইও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং স্মারকপত্র হাতে নিয়ে অতি শীঘ্রই তাদের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে লিখিতভাবে আশ্বাস দিলে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, প্রত্যেকটি জেলাতে জলমিত্ররা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করেও বকেয়া বেতন পাচ্ছে না।

বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সিইও কার্যালয় ঘেরাও জলমিত্রদের

তাঁরা বলেন, এই বিষয়ে সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, কোন ফান্ড আসেনি। আবার গুয়াহাটিতে যোগাযোগ করলে বলা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণের ফান্ড রয়েছে। বিশেষ করে কাছাড় জেলাতে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। সরকার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তারা গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ এই কার্যালয় ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। তাই আজ থেকে দুই মাস সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে তাঁদের সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে তাঁরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জেলা পরিষদের সিইও কার্যালয় অনির্দিষ্টকালীন ঘেরাও করে প্রতিবাদ করবেন। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক বাপন নমঃশুদ্র। কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ লস্কর, সম্পাদক সুব্রত দাস, সহসম্পাদক বিজিৎ শর্মা, কমরুল ইসলাম, মনজুরুল হক সহ অন্যান্যরা।

Author

Spread the News