জয়পুরে প্রতিবেশী যুবতীকে ধর্ষণ, কারাদণ্ড প্রৌঢ়ের
বরাক তরঙ্গ, ৩১ জুলাই : যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে প্রৌঢ়েকে কারাবাসের সাজা শোনালো কাছাড়ের জেলা ও দায়রা জজ বিপ্রজিত রায়ের আদালত। সাজাপ্রাপ্ত প্রৌঢ় নিত্যানন্দ বর্মন ওরফে বুলু (৫৯) জয়পুর থানা এলাকার উত্তর দলইছড়া কলোনির বাসিন্দা।
ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ। ওইদিন দুপুর বারোটা নাগাদ নিত্যানন্দ তার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। সে সময় প্রতিবেশীর বাড়িতে একা ছিলেন ওই পরিবারের সদস্য এক যুবতী। প্রতিবেশী হিসেবে নিত্যানন্দ প্রায়ই যুবতীর বাড়িতে যাতায়াত করত। ঘটনার দিন দুপুরে সে ওই বাড়িতে গিয়ে, নির্যাতিতা যুবতীকে এক গ্লাস জল দিতে বলে। যুবতী জল নিয়ে তার কাছে গেলে সে মুখে চাপা দিয়ে ধরে বলপূর্বক পাশবিক বাসনা চরিতার্থ করে।
ঘটনার পর যুবতী ব্যাপারটা অন্যান্যদের জানিয়ে দেবার কথা বললে নিত্যানন্দ ছুরা দেখিয়ে তাকে ভয় দেখায়। হুমকি দেয় কাউকে একথা জানালে যুবতীর পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে। এতে যুবতী কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপ করে থাকেন। তবে পরবর্তীতে এই ধর্ষণের জেরে যুবতী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তার বাড়ির লোকেরা তাকে এনিয়ে জিজ্ঞেস করেন। এই অবস্থায় যুবতী সবকিছু খুলে বলেন। যুবতীর গর্ভের মেয়াদ যখন ৮ মাস তখন তার পরিবারের লোকেরা এগিয়ে জয়পুর থানায় এজাহার দায়ের করেন। এসবের মাঝে যুবতী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে জন্মের কিছুদিন পরই ওই সন্তানের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে, যুবতীর পরিবারের লোকেদের এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত চালায়। তদন্ত প্রক্রিয়ার পর মামলা গড়ায় আদালতে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায়ে নিত্যানন্দ ওরফে বুলুকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির
৩৭৬ ধারায় ৭ বছর কারাবাসের সাজা শোনানোর সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড।