মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিলের প্রতিবাদ সোনাইয়েও
বরাক তরঙ্গ, ৩১ জুলাই : মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিলের সিদ্ধান্তে গর্জে ওঠলো মুসলিম সমাজ। ১৯৩৫ সালের মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্তে এবার গর্জে ওঠলো মুসলিম সমাজ। মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিল করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নামলেন মুসলিম সমাজের সচেতন লোকেরা। এই আইন বহাল রাখার দাবিতে আওয়াজ তুললেন একাংশ মুসলিমরা। মঙ্গলবার সোনাই সার্কল অফিসারের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এর আগে সোনাই ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একাধিক বক্তারা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেন।
বৈঠকে কাছাড় জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক মওলানা নাজির হোসেন মজুমদার বলেন, ১৯৩৫ ইংরেজি থেকে মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন চলে আসছে দেশে। কিন্তু রাজ্য সরকারের আচমকা এই আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে তিনি ধিক্কার জানান। বলেন, মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্টের মাধ্যম সমগ্র দেশে সুন্দরভাবে বিবাহ নিবন্ধন ও বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলে আসছে। কাজীদের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণরা সহজেই এই কাজ সম্পাদন করে আসছেন। তাই ধর্মীয় আইনের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ না করাটাই ভালো। রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করতে তিনি অনুরোধ জানান।
রাইট ওয়ে ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সামসুল ইসলাম বড়ভূইয়া, আজিজুর রহমান, রাবুল হোসেন লস্কর ও জেলা আমসুর সাধারণ সম্পাদক মেহবুব আলম লস্কররা বলেন, সরকার বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হোক, এতে তাদেরও সমর্থন থাকবে। তবে বাল্যবিবাহ বন্ধের নামে ১৯৩৫ সালের মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, মুহাম্মদন আইন অনুযায়ী মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ প্রথা চলে আসছে। আর এটা ভারতীয় সংবিধানও অনুমতি দিয়েছে। তাই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না আনতে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন রাজ্য ক্যাবিনেট মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে এই আইন বাতিল করতে বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মুসলিম সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।