কিশোরীকে ধর্ষণ, জেলে জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল

১১ জুলাই : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফেসবুক ও ইউটিউবের কন্টেন্ট নির্মাতা ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুর ২টার দিকে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ তাকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. মাহাবুবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসমাইলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ইসমাইল মেয়েটিকে তার স্ত্রী দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম কল্যাণিকান্দা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল ধর্ষিতার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। প্রায় ৫/৬ মাস আগে ইসমাইল মেয়েটির বাড়িতে এসে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। মেয়েটির মা অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিষয়টি তিনি পরে জানতে পারেন। শুধু তাই নয়, ইসমাইল মেয়ের মাকে রাজি করিয়ে মেয়েকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়।

এক পর্যায়ে শনিবার (৬ জুলাই) রাতে ওই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করে ইসমাইল। এ সময় মেয়েটি ইসমাইলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় মেয়েটি তার মাকে সব খুলে বলে। মেয়েটির মা বিষয়টি নিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ইসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় মেয়েটির মা মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, থানায় অভিযোগ করা হলে ইসমাইল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রথমে মেয়েটিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাছাড়া ভিকটিম একজন নাবালীকা। তাই বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯(১) ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা।

Author

Spread the News