‘সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা বাড়ছে’, সংসদে তুললেন ইকরা চৌধুরী

১৪ ডিসেম্বর : লোকসভায় সংবিধানের ৭৫তম বর্ষপূর্তির দ্বিতীয় দিন শনিবার বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ইকরার চৌধুরী বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধান ধ্বংসের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে আজ প্রতিটি শ্রেণির মানুষ কোনও না কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, কিন্তু সংখ্যালঘুদের, বিশেষত মুসলমানদের ওপর যে অত্যাচার চলছে তা কারও অজানা নয়।শুধুমাত্র তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।”

সাংসদ ইকরা চৌধুরী বলেন, “পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গণপিটুনি এবং বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ভেঙে ফেলার ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত উত্তরপ্রদেশে, যেখানে মনে হয় আইন-শৃঙ্খলার নামে এক অরাজক পরিস্থিতি চলছে। যা ঘটেছে তা সবার সামনে রয়েছে। পুলিশের ছত্রছায়ায় নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে, আর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে, অথচ ক্ষমতাসীনরা হয় চোখ বন্ধ করে বসে আছে অথবা এসব ঘটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। পরিস্থিতি তখন আরও খারাপ হয়, যখন বিচার ব্যবস্থার কথা পর্যন্ত উপেক্ষা করা হয়।” সপা সাংসদ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট গণপিটুনি ঠেকাতে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করেছিল। এতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। কিন্তু আজও সেই নির্দেশগুলির বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবস্থা এমন যে গণপিটুনি ঠেকানোর বদলে ক্ষমতাসীনরা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে। তাদের মুখ থেকে এমন শব্দ বেরোয় যা ঘৃণাকে আরও উস্কে দেয়।”

'সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা বাড়ছে', সংসদে তুললেন ইকরা চৌধুরী

সাংসদ চৌধুরী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর চলা হামলা নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সাথে যা ঘটছে তা হৃদয়কে আহত করে। তাদের জানমালের ক্ষতি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হোক বা ভারত কিংবা অন্য যে কোনও দেশ, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং অধিকার সুরক্ষা করা প্রতিটি সরকারের প্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত।”

ইকরার চৌধুরী বলেন, “সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ অনুচ্ছেদ সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অধিকার দিয়েছে, যাতে তারা তাদের পরিচয় সংরক্ষণ করতে পারে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু এখন সেই অধিকারগুলিতে সব দিক থেকে আঘাত করা হচ্ছে। ওয়াকফের মতো বিল এনে তাদের ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

Author

Spread the News