ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী টুনটুন দাদুকে দিয়ে শতভিষার মণ্ডপ উদ্বোধন
বরাক তরঙ্গ, ২০ অক্টোবর : সামান্য একটি ঝুপড়িতে বিগত ৭০ বছর থেকে চানাচুর বিক্রি করে অনেক ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছেন। বয়স শতকের ঘরে আজও একই জায়গায় চানাচুর বিক্রি করে নিজের সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু কোনদিন এতো বড় সম্মান পাননি এবং ভাবতেও পারেননি তার হাত দিয়ে ৫৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী পূজা কমিটি “শতভিষা”র প্যান্ডেল ফিতা কেটে ও প্রদীপ প্রজ্বলন করে উন্মচন করবেন। ষষ্ঠীতে শতভিষা বিশেষ সম্মান জানিয়ে চানাচুর বা টুনটুন দাদু মণীন্দ্র দত্তের হাত দিয়ে শুভ কাজ করলেন।
মণীন্দ্র দত্ত বা টুনটুন দাদু স্বাধীনতার আগে থেকেই এই ব্যবসা করে তার সংসার চালাচ্ছেন। এই দোকানের আয় থেকে ছেলে মেয়ে মানুষ করেছেন কিন্তু বড় হয়ে বৃদ্ধ বাবা-মাকে ছেড়ে নিজেদের পৃথক সংসার নিয়ে থাকলেও টুনটুন দাদু আজও ৯৫ বছর বয়সে নিজে রোজগার করে স্বামী স্ত্রীর সংসার চালাচ্ছেন এই দোকান দিয়ে।
এবার পুজোয় সাজসজ্জায় নতুনত্ব আনল সীমান্ত শহর, করিমগঞ্জের নীলমণি রোডে “শতভিষা”। বিগত ৫৫ বছর এই ভাবে দর্শকদের আকর্ষিত করে আসছে। শহরের একদম প্রায় শেষ প্রান্তে বিগ বাজেটের পুজোয় আসা ভক্তরা “শতভিষা”র না দেখলে পুজোর আনন্দটা থেকে যায়। তাই গোটা বরাক উপত্যকার মাতৃ ভক্তরা একবারে জন্য এই পুজো দেখতে আসেন শতভিষার আয়োজিত পুজো। এবার এই পুজো কমিটি ৫৬ বছর। এবারও মন্দিরে চমক দেখাবে শহরের অন্যতম পুজো কমিটি শতভিষা। এবার শহরের নিকটবর্তী কর্নমধুর বিল্টু রায় আধুনিক একটি মন্দির তৈরি করবে। মন্দিরের বাইরে ভিতরে নানা সাজসজ্জার বাহার থাকবে। একই সঙ্গে গোটা এলাকা জোড়ে থাকবে আলোর বাহার। মূর্তি তৈরি করেছে “মাতৃ শিল্পালয়”।
এবারের পুজোয় প্যান্ডেল, মূর্তি, আলোর সহ পুজোর নানা দিক তুলে ধরেন পুজো কমিটির সহ সম্পাদক অভিষেক রায়। তিনি জানান, কমিটির দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পাদক বিপ্লব দে-কে এবার সভাপতি করা হয়। কার্যকরি সভাপতি অপরূপ দাস, সম্পাদক কিশোর দে, কোষ্যাধ্যক্ষ শুভঙ্কর দাস। তিনি বলেন, এই পুজো নীলমণি রোড, ব্রজেন্দ্র রোড, তিলকচাঁদ রোড, রমণী রোড, তাঁরাভূষণ লেন ও স্টিমারঘাট রোড এলাকার নাগরিকরা বিগত ৫৫ বছর থেকে সাফল্যের সঙ্গে পুজো করে যাচ্ছেন। পুজোকে সফল করতে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন পুজো কমিটির সভাপতি বিপ্লব দে।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।