বিমানের অবস্থা দেখে নেমে এসেছি, নামায়নি কেউই : সুজিত

বরাক তরঙ্গ, ৬ সেপ্টেম্বর : বিমানটিতে যাত্রা নিরাপদ নয় ভেবে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই, কেউ নামায়নি। বুধবার সাংবাদিক ডেকে এমনটাই জানালেন বরাক উপত্যকা কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা সুজিত দাস চৌধুরী। এ দিন তিনি বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, মঙ্গলবার শিলচর- কলকাতা এআই ৭৪২ এলাইন্স এয়ারলাইন্স বিমানে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার হয়নি। তাকে বিমান থেকে নামানো হয়নি। বিমানটির অবস্থা দেখে তিনি যাত্রা বাতিল করেছেন।

এদিন দুপুর ১.৪০ মিনিটে শিলচর কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উল্লেখিত বিমানে অন্যান্য যাত্রীর সঙ্গে তারও যাত্রা করার কথা ছিল৷ নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি বিমানে উঠেন। কিন্তু বিমানে উঠে হতবাক হয়ে পড়েন। বিমানটি খুব পুরোনো এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙা বলে জানান। এমনকি বসার সিটও ছিল ভাঙা। তাছাড়া বিমানের এসিও কাজ করছিল না। প্রচণ্ড গরমে সব যাত্রীই হা-হুতাশ করছিলেন৷ এই অবস্থায় বিমানটিতে যাত্রা করা নিরাপদ নয় ভেবে তিনি নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ সে সময় দুই – একজন সহযাত্রীকে নেমে যাওয়ার কথা বলেন বলে জানান। আর তখনই কথাটি শুনেন একজন বিমান সেবিকা। তিনি এগিয়ে এসে কি হয়েছে বলে কারন জানতে চান। তিনি বিমানের পরিসেবার ত্রুটি সহ বিমানটি আকাশে উড়ার জন্য কতুটুক নিরাপদ বলে বিমান সেবিকার কাছে জানতে চান৷

বিমানের অবস্থা দেখে নেমে এসেছি, নামায়নি কেউই : সুজিত

তাছাড়া এই অবস্থায় যাত্রা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন৷ বাধ্য হয়ে বিমানকর্মীরা তাকে বিমান থেকে নামানোর ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান সুজিত দাস চৌধুরী। সে সময় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আরও ১০ জন যাত্রী তার সঙ্গে বিমান থেকে নেমে পড়েন। যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা মোটেই সত্য নয় বলে দাবি করেন৷ বিমানবন্দ সহ বিমানে একাধিক সিসি ক্যামেরা সংস্থাপন করা আছে। তিনি বলেন, “ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রন্ত জড়িত। ডিলিমিটেশনে শিলচর লোকসভা আসন সংরক্ষিত হওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে ৷ এই ঘটনাও তার একটি অঙ্গ৷”
প্রতিবেদক : হিবজুর রহমান, শিলচর।

Author

Spread the News