গুয়াহাটিতে রাস্তার পাশে ট্রলিতে মানবদেহ, চাঞ্চল্য
বরাক তরঙ্গ, ১১ মে : গুয়াহাটি মহানগরের বশিষ্ঠ এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর এবং ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বন দপ্তরের অফিসের কাছে একটি নির্জন স্থানে একটি পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ থেকে একটি মানবদেহের অঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। এই আবিষ্কারটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, একটি কালো ট্রলি ব্যাগ রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। বশিষ্ঠ ও ইন্দিরা নগরের সঙ্গে সংযুক্ত রাস্তাটি। প্রথমে ব্যাগ মনে হচ্ছিল পরিত্যক্ত, তা মুহূর্তে একটি অপরাধের দৃশ্যে পরিণত হয়। একজন স্থানীয় স্ক্যাভেঞ্জার বোতল সংগ্রহ করছিলেন, ব্যাগ থেকে মানব পা বেরিয়ে থাকতে দেখেন এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন। বাসিন্দারা পুলিশকে অবগত করেন।
বশিষ্ঠ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতির কারণে তারা ব্যাগটি তাৎক্ষণিকভাবে খুলে আরও পরীক্ষা করতে পারলেন না। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন যে, ব্যাগটির আকার তুলনামূলকভাবে ছোট হওয়ায় এটি হয়তো একটি শিশু বা কিশোরের দেহ হতে পারে।
প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে যে, দেহটি সম্ভবত হত্যা করার পর ব্যাগের মধ্যে গুঁজে রাখা হয়েছিল এবং অন্ধকারের আড়ালে, সম্ভবত সন্ধ্যা বা রাতের সময়, রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। অপরাধের স্থানটি একটি দুর্বলভাবে আলোকিত রাস্তার অংশে অবস্থিত, যেখানে রাস্তার আলো এবং সিসিটিভি নজরদারি কিছুই নেই, যদিও সেখানে গুয়াহাটি বন বিভাগের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন যে, এই অন্ধকার এবং বিচ্ছিন্ন রাস্তা অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য একটি হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, দিসপুর পুলিশও এই মামলার তদন্ত করছে এবং সন্দেহ করছে যে এটি দিসপুর এলাকার একটি ১০ বছর বয়সী শিশুর নিখোঁজ হওয়ার মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। শনিবার দুপুরের দিকে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে, পুলিশ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
দিসপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (এডিসিপি) বলেন, নিখোঁজ শিশুর এবং বশিষ্ঠ উদ্ধার হওয়া দেহের মধ্যে একটি সংযোগের ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে, তবে নিশ্চিতকরণ কেবল আরও তদন্ত এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণের পরই সম্ভব।
