ভেঙে পড়ল বাড়িঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা পশ্চিমবঙ্গে, ওড়িশায় কোন মৃত্যু ঘটেনি জানালেন মুখমন্ত্রী

২৫ অক্টোবর : ভেঙে পড়ল কাঁচা বাড়ি। ভাঙল বিদ্যুতের খুঁটি। ঘূর্ণিঝড় ডানা’র দাপটে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও সুন্দরবন এলাকায় ক্ষতির মুখোমুখি হল প্রায় ৬০০টি কাঁচা বাড়ি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। যদিও যে পরিমাণ হাওয়ার দাপট ছিল তাতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতে পারত।

তবে ঘূর্ণিঝড় ডানা’র ঝাপটায় ক্ষতি হয়েছে সমুদ্র এলাকায় বাঁধের। দু’একটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই জায়গায় মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। রাতে হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। তবে সবকিছু মিলিয়ে জেলায় বড় ক্ষতির ছবিটা নেই বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক। বেলা গড়ালে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক।

ভেঙে পড়ল বাড়িঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা পশ্চিমবঙ্গে, ওড়িশায় কোন মৃত্যু ঘটেনি জানালেন মুখমন্ত্রী

এ দিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র কারণে কোনও প্রাণহানি হয়নি ওড়িশায়। দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া চলে। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কোনও প্রাণহানি হয়নি। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’

মাঝি জানান, অন্তত ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৬,০০০ সন্তানসম্ভবা মহিলাকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮,৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওডিশা প্রশাসন।

ভেঙে পড়ল বাড়িঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা পশ্চিমবঙ্গে, ওড়িশায় কোন মৃত্যু ঘটেনি জানালেন মুখমন্ত্রী

গতকাল রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়ে ‘ডানা’। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। পারাদীপের রাডার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ধামরা বন্দর সংলগ্ন গ্রামগুলিতে তো বটেই, ভদ্রক এবং অন্য উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও গাছ উপড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সেইসব গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এখনও উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। রয়েছে ঝড়ের প্রভাবও। সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আসতে কিছুটা সময় লাগবে বলে ওডিশা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Author

Spread the News