টুপি আর স্নিফার ডগ ধরিয়ে দিল ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে

১৫ ডিসেম্বর : যোরহাটের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে যোরহাট পুলিশের স্নিফার ডগ ‘জ্যাক’। যোরহাট পুলিশের এই ল্যাব্রাডর জাতের স্নিফার কুকুরটির অসাধারণ দক্ষতা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

যোরহাটের মোহবন্ধা চা বাগানে সংঘটিত নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দু’জনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় যোরহাট পুলিশ। এই চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে বিশেষ ভূমিকা নেয় স্নিফার ডগ ‘জ্যাক’।

১১ ডিসেম্বর সকালে যোরহাটের উপকণ্ঠের মোহবন্ধা চা-বাগান থেকে প্রায় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার অর্ধউলঙ্গ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হয় এবং ধর্ষণের আশঙ্কাও প্রকাশ পায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তদের সন্ধান পেতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় স্নিফার ডগ জ্যাককে।

মৃত বৃদ্ধার পোশাক ও ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা স্যান্ডেলের গন্ধ শুঁকে জ্যাক প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বৃদ্ধার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জ্যাকের এই সাফল্যে তদন্তকারী পুলিশ দলের আত্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়।

এরপর ঘটনাস্থলের কাছে উদ্ধার হওয়া একটি পচা মাছ ধরার দড়ি ও একটি টুপির গন্ধ শোঁকানো হয় জ্যাককে। এবারও সে নির্ভুলভাবে পথ দেখিয়ে দুই সন্দেহভাজন যুবকের বাড়িতে পৌঁছায়। স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া টুপিটি ওই বাড়ির এক যুবকের ছিল। পাশাপাশি, এলাকার একাংশ মানুষ আগেই ওই দুই যুবকের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।

এই তথ্যের ভিত্তিতে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। পরবর্তীতে বোকাখাট থেকে মুন্না লোহারকে এবং মরিয়নির গিবন অভয়ারণ্যের কাছাকাছি এলাকা থেকে শঙ্কর কর্মকার ওরফে পোটানকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত দু’জনেই পুলিশের জেরায় এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করার কথা স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *