ভর্তির দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ
বরাক তরঙ্গ, ২৭ জুন : বরাকের প্রায় প্রতিটি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কলেজ থেকে হায়ার সেকেন্ডারি উত্তীর্ণ হওয়া পড়ুয়ারা একই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। এ নিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার শিলচর জিসি কলেজে আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জে ছাত্রদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে।
এ দিন ভর্তির দাবিতে হাইলাকান্দির এসএস কলেজ প্রবেশে মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে সামিল ছিলেন এনএসইউআইর রাজ্য সম্পাদক মজমল ইসলাম লস্কর। তিনি বলেন, ৬৫ শতাংশ মার্কস পেয়েও এসএস কলেজে ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির আবেদন করে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে পড়ুয়ারা। আবেদনপ্রার্থীদের মধ্যে হাইলাকান্দি এসএস কলেজের অনেক পড়ুয়া রয়েছে। ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ছাত্রনেতা মজমল। দাবিপূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তিনি। ছাত্র আন্দোলনে সামিল ছিলেন এনএসইউআইর হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সাদিক আহমেদ চৌধুরী, ইসতাক আলম মজুমদার, এজেওয়াইসিপির হাইলাকান্দি জেল সভাপতি দিলুয়ার হুসেন লস্কর, মুরসেদ আলম মজুমদার, হুসাইন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
এ দিকে, ভর্তির দাবিতে এবিভিপির সদস্যরা কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ এবং কলেজ অধ্যক্ষ ছুটে আসেন। পরবর্তীতে কলেজ অধ্যক্ষের আশ্বাসের পর তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। উল্লেখ্য, ডিগ্রির আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশের পর পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে ছাত্রদের অভিযোগ,এই কলেজেই দু বছর পড়ার পর ৭০ শতাংশ, ৭৫ শতাংশ পাওয়া পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ সিট না থাকার অজুহাত দেখাচ্ছেন।এই বিষয়ে এবিভিপির ছাত্ররা এর আগেও অধ্যক্ষের কাছে স্মারকপত্র প্রদান করেছিল কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষের কাছে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভে বসে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে এবিভিপির আন্দোলনের ফলে মর্নিং শিফট শুরু হয় এবং বিগত ৬-৭ বছর সুন্দরভাবে মর্নিংসিফট চলা সত্ত্বেও এইবার এনএসইউআই এর ছাত্রসংসদ এবং অধ্যক্ষ যৌথভাবে মর্নিং শিফট বন্ধ করার চক্রান্ত করছেন যার দরুন ডিগ্রি সিটের কৃত্রিম অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এবিভিপি করিমগঞ্জ ইউনিটের সদস্যদের দাবি কলেজে অতিসত্তর মর্নিং শিফটে ছাত্র ভর্তি শুরু হোক। এতে কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে জেলার অন্যান্য জায়গার মেধাবী ছাত্ররাও সুযোগ পাবে।
বিক্ষোভের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ রামানুজ চক্রবর্তী ছুটে আসেন এবং এবিভিপি সদস্যদের আশ্বাস দেন যে এই ব্যাপারে তিনি বিকেলের মধ্যে সভা ডেকে ছাত্রদের দাবি পূরণের চেষ্টা করবেন। অধ্যক্ষের আশ্বাসে ছাত্ররা বিক্ষোভ বন্ধ করে এবং দাবি আদায় না হলে আবার ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দেয়।