গ্যামন সেতু উন্মুক্ত, কঠোর বিধিনিষেধ জারি

জননিরাপত্তা ও সেতুর সুরক্ষায় সচেষ্ট কাছাড় জেলা প্রশাসন

অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ১৫ জুলাই : দীর্ঘ ৫৫ দিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস! গ্যামন সেতুর সংস্কার কাজের পর মঙ্গলবার বিকেলে নারিকেল ফাটিয়ে, লাল ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুই মন্ত্রী কৌশিক রায় ও কৃষ্ণেন্দু পাল। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ শেষে সেতুটি ফের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কাছাড়, শ্রীভূমি ও হাইলাকান্দির জনগণের মধ্যে। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, পুলিশ সুপার নুমাল মাহাতো, এনএইচআইডিসিএল-র জেনারেল ম্যানেজার গৌরাঙ্গ দেওঘরে সহ বিভাগীয় পদাধিকারী ও বিজেপির ‌নেতা কর্মীরা।

গ্যামন সেতু উন্মুক্ত, কঠোর বিধিনিষেধ জারি

উদ্বোধন শেষে বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, জরুরি মেরামতি জন্য দু’মাসের সময় সীমা নিৰ্ধারণ করে সেতুটি বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু NHIDCL কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে হালকা যানবাহন। এভাবে পাঁচ দিন চলার পর পাঁচ-ছয় ঘন্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ রেখে গ্যামন সেতুর যান্ত্ৰিক নিরিক্ষণ করা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য মুক্ত হবে এই সেতু।

গ্যামন সেতু উন্মুক্ত, কঠোর বিধিনিষেধ জারি

এ দিকে, গ্যামন সেতুর কাঠামোগত স্থায়িত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কাছাড় জেলা প্রশাসন। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ এর আওতায় জারি করা এক নির্দেশনায় সেতুর উপর যান চলাচলে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেতুর উপর অতিরিক্ত বোঝা এবং অননুমোদিত যানবাহন পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গ্যামন সেতু উন্মুক্ত, কঠোর বিধিনিষেধ জারি

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুলাই থেকে ৪০ টনের বেশি ওজন বহনকারী কোনও যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি, সেতু ব্যবহারকারী কোনও যানবাহনের গাড়ির গঠন বা বডি যদি অনুমোদনহীনভাবে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে, তাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর রাখতে দুই প্রান্তে দিগরখাল টোলগেট এবং ডলু টোলগেট সংলগ্ন এলাকায় যৌথ চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে এই চেক পয়েন্টগুলোতে পুলিশ বিভাগ, পরিবহন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ ও অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের অধীনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে।

Spread the News
error: Content is protected !!