ঝেরঝেরি ও ইছাবিলে পাঁচ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার বিজেপিতে ভিড়লেন
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মার্চ : যোগদান অব্যাহত। কৃপানাথ মালা ও কৃষ্ণেন্দু পালের হাত ধরে দল ত্যাগ করে বিজেপিতে ভিড়লেন ঝেরঝেরি ও ইছাবিল জিপির পাঁচ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার। বুধবার করিমগঞ্জের প্রার্থী কৃপানাথ মালাকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েটি কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে সাংসদ প্রার্থী কৃপাকে জয়ী করার আহব্বান জানালেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। এতে তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলে ভোটের পর বিরোধীদের অস্তিত্ব থাকবে না ফের ৪০০ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় বসবে বিজেপি সরকার এতে আবারও প্রাধানমন্ত্রী হবে নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া তিনি এও জানিয়ে দেন খুব শীঘ্রই রাজ্যে বিজেপি ছাড়া আর বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে।
সাংসদ প্রার্থী কৃপানাথ মালাকে নিয়ে কৃষ্ণেন্দুর পৃথক পৃথক কর্মিসভা পাথারকান্দিতে
এ দিন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নিজ পাথারকান্দি কেন্দ্রে পৃথক পৃথক কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিরোধীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, একসময় কৌমের দোহাই দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে ছিল কংগ্রেস। এমনকি বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটারদের টানতে বিজেপিকে ভোট দিলে নামাজ পড়তে সমস্যা হতে পারে বলে মিথ্যে প্রচার চালিয়ে ছিল বিরোধীরা। কিন্তু আজকের দিনে উল্টো ওরাই বিজেপির উন্নয়ণের প্রশংসা করছে। লোকসভা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দক্ষ নেতৃত্ব এবং দেশ তথা রাজ্যের সীমাহীন উন্নয়ণে উপর পুরো আস্থা রেখেছেন জনগণ। ফলে আজ এই পৃথক পৃথক কর্মিসভায় প্রায় দুশতধিক কর্মী বিজেপি দলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, বিরোধীরা যখন তাদের দলে কে আছেন কে নেই এসব নিয়ে ঘর ঘোচাতে ব্যস্ত ঠিক তখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে।
এদিন পাথারকান্দি ও লোয়ারপোয়া মণ্ডলের অধীন বেশক’টি পৃথক পৃথক কর্মিসভায় দীর্ঘ বক্তব্যে বলেন, বিরোধীদের ন্যায় ধর্মের উপর ভিত্তি করে বিজেপি ভোট চায় না। এই দল “সব কা সাথ, সবকা বিকাশ”র উপর বিশ্বাস রেখে উন্নয়ণের বাস্তব প্রতিচ্ছবি দেখিয়ে ভোট চায়। তিনি বলেন, বিগত দিনের কংগ্রেসের অপশাসন জনগণ এখনও ভুলেননি। কংগ্রেসের আমলে পাথারকান্দির যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে ছিল। কিন্তু কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপকভাবে চারদিকে উন্নয়ণের জোয়ার বয়ে চলছে বলে জোর গলায় দাবি করেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে আজকের দিনে যারা ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে তারা এতদিন কোথায় ছিল বলে প্রশ্ন উত্থাপন করেন তিনি।
তাঁর মতে, প্রতিটি ঘরে ঘরে রেশন সামগ্রী, বিনামুল্যে গ্যাস সংযোগ, মহিলাদের জন্য অরুনোদয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পাইয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল বিজেপি সরকার। যা আজ ও সমান তালে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিন দলীয় প্রার্থী সাংসদ কৃপানাথ মালাকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতকে শক্ত করতে মর্যাদা সম্পন্ন করিমগঞ্জ আসনটি ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে উপহার দিতে রেকর্ড ভোটে কৃপানাথকে জেতাতে সবার কাছে এদিন আবেদন রাখেন কৃষ্ণেন্দু।
এদিন লোয়াইরপোয়া মণ্ডলের ইছাবিল ও ঝেরঝেরি জিপির সাংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের প্রায় পাঁচ হাজার ভোটের কংগ্রেস এআইউডিএফ দল ত্যাগ করে সাংসদ কৃপানাথ মালা ও বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের হাত ধরে শাসক দলের তরীতে ভিড়েন।