তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়কের সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
২৭ এপ্রিল : পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদের দেশ ও রাজধানী না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার বিকেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ) অনিল চৌহান। সূত্রের খবর, দেশকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি বিদেশি শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সামরিক শাখার তিন বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অবহিত করবেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। আকাশপথ ও নৌপথে নাকি স্থলপথে প্রত্যাঘাত করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
করেছে তিন বাহিনী (স্থল, বায়ু ও নৌসেনা)। বায়ুসেনার তরফে যেমন যুদ্ধের মহড়া শুরু হয়েছে, তেমনই নৌসনার তরফ থেকে শুরু হয়েছে আরব সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
যুদ্ধের বাদ্যি বেজে ওঠায় সীমান্ত থেকে গ্রামবাসীরা নিরাপদে সরে গিয়েছেন। এমনকি অব্যবহৃত বাঙ্কার বা মাটির তলে থাকা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র পরিস্কার শুরু হয়েছে। যে কোনও মুহুর্তে যে প্রত্যাঘাত হতে পারে, তা ঘটনাপ্রবাহেই স্পষ্ট। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিকস বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদেরও দিল্লি না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা থাকলেও পূর্ব এবং মধ্য ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়কের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
খবর : এই মুহূর্তে।
