লামারগ্রামে সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে নির্বাচনী সভা
বরাক তরঙ্গ, ২৪ এপ্রিল : কেন্দ্রের এবং রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিমদের সঙ্গে কোনও বৈষম্য করেনি। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে মুসলিমরা বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মুসলিমরাও বিপুল হারে শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হবেন। সোমবার শিলচর রামনগরে এক বিশালনির্বাচনী জনসভায় এসব বক্তব্য তুলে ধরেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। এদিন রামনগর তারাপুর জিপির লামারগ্রামে সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে ২১৯ নম্বর চিরুকান্দি বুথ এবং ২২১ নম্বর বুথের প্রচুর সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে বিশালনির্বাচনী সভা হয়। বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যর সমর্থনে আয়োজিত সভায় পৌরোহিত্য করেন সামসুল হক মজুমদার। সভা পরিচালনা করেন অসম প্রদেশ বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক আতাউর রহমান লস্কর।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি বিমলেন্দু রায়, প্রভারী অসম প্রদেশ বিজেপির সহসভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের প্রতিনিধি পুলক দাস, শিলচর লোকসভা আসনের বিস্তারক কৃষ্ণ দাস, পশ্চিম শিলচরের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য রামকৃষ্ণ সিনহা, অসম প্রদেশ বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্য নুরুল আলম মজুমদার কাছাড় জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক বড়ভূইয়া, বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনর প্রসেনজিৎ দেব, রমাপদ দে, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ সমীরণ চন্দ্র ধর, দুই বুথ সভাপতি বক্তার উদ্দিন লস্কর রঞ্জু উদ্দিন সদিয়ল।
সভায় বক্তারা দেশের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরে শিলচরের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে সংখ্যালঘু ভোটারদের আহ্বান জানান। তারা বলেন, বিজেপি সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কোনও ধরনের বৈষম্য করেনি। শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সমহারে সবার উন্নয়ন হচ্ছে বিজেপি আমলে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে তারা ভোটারদের আহ্বান জানান। অসম প্রদেশ বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক আতাউর রহমান লস্কর জানিয়েছেন এবার লোকসভা নির্বাচনে শিলচর আসনে বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্য প্রচুর মুসলিম ভোট পাবেন। মুসলিমরা এখন আর কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক নয়। তিনি বলেন, কংগ্রেস বছরের পর বছর সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের কোনও উন্নয়ন করেনি। ফলে এতদিন পিছিয়ে ছিলেন মুসলিমরা। এখন তারা সচেতন হয়ে উঠেছেন। তাই কংগ্রেস নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। আর সংখ্যালঘুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।