বরমবাবা মন্দিরে পূজা দিয়ে নির্বাচনী প্রচার বিজেপির, কংগ্রেস মুক্ত কাছাড়ের ডাক কৌশিকের

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ এপ্রিল : শিলকুড়ি-চাতলা জেলা পরিষদ এলাকায় শুক্রবার বিজয় সংকল্প সমাবেশের আয়োজন করল কাছাড় জেলা বিজেপি। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় বরমবাবা মন্দিরে পূজা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করল শাসক দল। সমাবেশের শুরুতে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পঞ্চায়েত পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া জয়ী হওয়া প্রার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করে সম্মানিত করেন দলের নেতারা।

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী কৌশিক রায় সহ দলের সাংসদ ও বিধায়করা। তাঁরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সুশাসন মেনেই দল এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পঞ্চায়েতরাজে বিজেপির ঐতিহাসিক ফলাফল দেখবেন জনগণ। ইতিমধ্যে ৩৫টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত ও ২টি জেলা পরিষদ পদে বিজেপি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উন্নয়নমূলক কাজের ফলেই দলের জয় যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই বরাকের উন্নয়ন আগামীতে আরও গতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক।

এদিকে, বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচনা করতে গিয়ে কৌশিক রায় বলেন, কংগ্রেসের বর্তমান জেলা সভাপতি যিনি রয়েছেন, তাঁর উপর টাকা নেওয়ার জন্য পলিটিক্যাল এফেয়ার্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।আসলে পলিটিক্যাল এফেয়ার্স কমিটির নামে কালেকশন কমিটি কংগ্রেস তৈরী করেছে বলে অভিযোগ মন্ত্রীর। বিগত দিনে পঞ্চায়েতরাজকে কংগ্রেস দালালরাজে পরিণত করেছিল।পঞ্চায়েতরাজকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে জনগণের অর্থ তাঁরা লুটেপুটে খেয়েছে বলেও অভিযোগ মন্ত্রীর। কংগ্রেসের অনেক প্রার্থীরা বলেছেন অর্থ দিতে না পারায় তাঁরা টিকিট পাননি। যে দলকে মানুষ পছন্দই করছেন না, সেই দলের সভাপতি বলছেন বিধায়ক টিকিট বিক্রি করেছে এবং দলের বিধায়ক বলেছেন সভাপতি টিকিট বিক্রি করেছে। কংগ্রেসের এসব কাণ্ড দেখে লজ্জাবোধ করছেন গ্রাম কাছাড়ের জনগণ। এবারের পাঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে কাছাড়কে কংগ্রেস মুক্ত করার ডাক দিয়ে জেলায় দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত রাজ গঠনে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়।

তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকার দেশে ক্ষমতায় আসার পর গ্রামের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। সরকারের তরফে অনুমোদিত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হওয়ায় উপত্যকার প্রত্যেক গ্রামেগঞ্জে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। গ্রামের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি গরিব মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমেই বিজেপির বিজয় রথ এগিয়ে যেতে শুরু করেছে,যা আগামী ২০২৬ সালে জেলার ৭টি বিধানসভা আসন দলীয় প্রার্থীদের জয়ের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে বলে দাবি করেছেন বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়।

এ দিন উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি রূপম সাহা, দুই বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও নীহাররঞ্জন দাস, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ প্রমুখ।