যানজট! নির্দেশে সোনাবাড়িঘাট বাজারে অবৈধ দখলের অংশ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
বরাক তরঙ্গ, ১১ জানুয়ারি : এমনিতেই সোনাবাড়িঘাটে কৃত্রিম যানজটে নাকাল দক্ষিণ কাছাড়ের জনগণ। এরমধ্যে শুকনো মরসুম ঢুকতেই যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করে। ভোর থেকে সৃষ্টি হওয়া যানজট কোনও কোনও দিন এর প্রভাব দুপুর বারোটা অবদি থাকে। স্কুলের ছাত্র শিক্ষকরাও তো সমস্যার মুখে পড়েনই আবার কোনও কোনও দিন কলেজ পড়ুয়া বা অফিস কর্মীরা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। মূলত ভোরের যানজট সৃষ্টিকারী হল সবজি বাজার। সোনাইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকারি সবজি বিক্রেতা অর্থাৎ কৃষকরা নিজস্ব উৎপাদিত সবজি নিয়ে ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কের অধিকাংশ দখল করে নেন। এতে যান চলাচলে বাধার মুখে পড়ে। এছাড়াও সোনাবাড়িঘাট তেমাথায় বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি যানবাহন অবৈধভাবে সড়কের উপর পার্কিংই যানজট অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা সড়কের খাস জমি দখল করে পসরা সাজিয়ে বসা সেটাও যানজট সৃষ্টির আরও এক কারণ।
শিলচর বাইপাস হওয়ার পর যানজটের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই তেমাথায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে স্তব্ধ হয়ে পড়ে বাজার এলাকা। প্রশাসন বছর দিন ধরে একজন ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে ঠিকই কিন্তু ওই কর্মীকে যানজট মুক্ত করতে হিমশিম খেতে হয়। যানজট যখন তীব্র রূপ নেয় তখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। এগিয়ে আসেন স্থানীয় যুবকরা। সম্প্রতি যানজট তীব্র আকার নেওয়ায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বাজার এলাকায় সড়কের প্রস্থর বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দখল করে বসা ব্যবসায়ীদের জমি খালি করার নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার সোনাই সার্কল অফিসের কর্মকর্তারা সড়কের মাপজোক করে দোকান ঘরের সামনের অংশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। অন্যথায় তারা এক্সেকেভেটর নিয়ে অভিযান চালাবেন বলেও সব জানিয়ে দেন। প্রশাসনের কড়া নির্দেশ পেয়ে বুধবার থেকে অনেকেই দখল করা অংশ ছেড়ে দিচ্ছেন। দোকানের সামনের অংশ নিজেরাই খোলে নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার একাজের গতি আরও তীব্র হয়। প্রায় প্রতিটি দোকান তাদের অবৈধ অংশ খোলে নিচ্ছেন।
সূত্রে জানা যায়, তেমাথা থেকে শিলচর দিকে সড়কের মধ্যভাগ থেকে ৩২ ফুট এবং আইজলের দিকে ২৬ ফুট হিসেব দিয়ে চিহ্নিত করে যান। মাপজোকের পর বহু ব্যবসায়ী বিপাকে পড়েছেন। অধিকাংশেরও বেশি ব্যবসায়ী তাদের সামনের পুরো অংশ ভেঙ্গে দিতে হচ্ছে। তবে অবৈধ পার্কিঙের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করলে যানজট থেকেই যাবে।