ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিতে ইন্ডিয়া ক্লাবের অসস্মতি, অরুণাচল এসএস-কে অফার ডিএসএ-র
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৪ অক্টোবর : খেলার আগে মাঠের বাইরে বড়সড় লড়াইয়ের মুখে পড়েছে অরুণাচল এসএস। শিলচরে সদ্য সমাপ্ত প্রফুল্ল বণিক স্মৃতি সুপার ডিভিশনে রানার্স দলটি হঠাৎ করে ক্যাপ্টেন এনএম গুপ্ত ট্রফি আমন্ত্রণমূলক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ পায়। এরপর থেকে দল গঠনের জন্য ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছেন ক্লাব সচিব অরিন্দম হোড় এবং কর্মকর্তা অমিতাভ বিশ্বাস (সোনা)। তবে ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিতে অরুণাচল এসএস খেলবে কি না, সেটা জানার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
ইন্ডিয়া ক্লাব এবারের সুপার ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফলে, তারাই ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিতে খেলবে এরকম কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ছবি পাল্টে যায়। আসবে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দেয় ইন্ডিয়া ক্লাব। এরপরই রাতারাতি নতুন দলের খোঁজে নেমে পড়েন শিলচর ডিএসএ সচিব অতনু ভট্টাচার্য এবং গুপ্ত ট্রফি আয়োজনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবারই অরুণাচলকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। তবে ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিতে খেলার সুযোগ যে আসবে সেটা ভাবতে পারেননি অরুণাচল কর্তৃপক্ষ। ফলে আগেই তাঁরা কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

সিআরএস প্রক্রিয়ায় মোট নয়জন ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবে চলে গেছেন। ফলে, সম্পূর্ণ নতুন একটা দল গড়তে হচ্ছে অরুণাচল এস এস-কে। এরকম পরিস্থিতিতে ভাল ফুটবলারের খোঁজ করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। একজন ফুটবলার একটি মরশুমে সর্বাধিক তিনটি ক্লাবে খেলতে পারেন। এবং সেজন্য তিনবার সিআরএস (সেন্ট্রেলাইজড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম) করতে হবে। ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফিতে খেলা হবে দুই গ্রুপে। ফলে সেখানে একটি দল মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলতে পারবে। ফাইনালে গেলে খেলবে তিনটি ম্যাচ। মাত্র দুই তিনটি ম্যাচ খেলে একটা সি আর এস কোটা নষ্ট করতে চাইছেন না কোনও ফুটবলার। এই জায়গায় আটকে রয়েছে অরুণাচল। তবে অরুণাচল এসএস যে এই দল গঠনের প্রয়াস চালাচ্ছে সেটা জানেন না ক্লাবের সভাপতি বাবুল হোড়। তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেনগুপ্ত ট্রফিতে খেলার আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা আমার জানা নেই। ক্লাব সচিব আরিন্দমই বলতে পারবেন।বাবুলবাবু এও বলেন, আমরা সুযোগ পেলে সেটা অবশ্যই খুশির কথা।’ আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফি। আই এস এলের দল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড সহ আসরে থাকছে আইজল এফসি, পশ্চিম মণিপুরের নোনে জেলার দল ফুটবল ক্লাব রায়েংদাই এবং লেনরোল এফসি লক্ষীপুর।

এদিকে, অরুণাচল এসএস টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেও এই স্থান পূরণে হাতে আরো দুই তিনটা দল রয়েছে বলে জানান সচিব অতনু ভট্টাচার্য। তবে কোন কোন দল রয়েছে তা আর খোলসা করেননি তিনি।