ওএনজিসি যোরহাটের উদ্যোগে কাছাড়ের পাঁচটি স্কুলে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ৪ মার্চ : ওএনজিসি যোরহাটের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সোসাইটি অব মেডিক্যাল অ্যান্ড প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স শিলচরের সহযোগিতায় কাছাড় জেলার পাঁচটি স্কুলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। স্কুলগুলো হল ধলাই বিএনএমপি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পানিভরা কৃষ্ণচরণ হাইস্কুল, গঙ্গানগর নিকামা এমই স্কুল, পালংঘাট সিসিজেসি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শচিনপুর ঈশ্বরচন্দ্র মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়।
ওএনজিসি যোরহাটের সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্পের অধীনে, স্কুলগুলোতে ডেস্ক বেঞ্চ, টেবিল চেয়ার, ব্ল্যাক বোর্ড, সিলিং ফ্যান, অ্যাকোয়াগার্ড, জেনারেটর, মাইক, তবলা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই শিক্ষাসামগ্রীগুলি স্কুলগুলোর পঠন-পাঠনের পরিবেশকে আরও উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোরহাট ওএনজিসির তরুণ কুমার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত নৌহাব হাউলোই, জেলার স্কুল পরিদর্শক গণেশ হরিজন, শ্রীকোণা ওএনজিসির অ্যাসেট ম্যানেজার একে ওয়ালিয়া, যোরহাট ওএনজিসির হেড জিওফিজিক্যাল সার্ভিস চন্দ্রশেখর বহুগুনা, সিএসআর ইনচার্জ সতীশ মেরে প্রমুখ। কৃষ্ণচরণ হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুরজিৎ রুদ্রপাল সামগ্রী বিতরণী সভার সভাপতিত্ব করেন। সভার শুরুতে মণিপুরি নৃত্য এবং স্কুলের ছাত্রীরা ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করেন।

সোসাইটি অব মেডিক্যাল অ্যান্ড প্যারামেডিক্যাল সায়েন্সের পক্ষে ডাঃ এম শান্তিকুমার সিংহ প্রারম্ভিক বক্তব্যে ওএনজিসিকে তাদের সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচটি স্কুলের ৪২২৯ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৮৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উপকৃত হবেন।
উপকৃত স্কুলগুলোর পক্ষ থেকে পিনাক চক্রবর্তী, আনোয়ার আহমেদ, ডলি নাথ, জগৎজ্যোতি দাস এবং সুমিত কুমার ঘোষ ওএনজিসি কর্তৃপক্ষকে উত্তরীয় দিয়ে সম্মানিত করেন। স্কুল পরিদর্শক গণেশ হরিজন কাছাড়ের প্রতিটি স্কুলকে সিএসআর-এর আওতায় ওএনজিসির সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন।
অ্যাসেট ম্যানেজার একে ওয়ালিয়া বলেন, জেলা প্রশাসন যদি ওএনজিসিকে সহযোগিতা করে, তাহলে ওএনজিসি সিএসআর-এর আরও ব্যবস্থা করতে আগ্রহী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তরুণ কুমার আজকের অনুষ্ঠানের সফল আয়োজনের জন্য এনজিও প্রধান ডাঃ শান্তিকুমার সিংহ ও প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসা করেন।