অসমের পুঁথি চিত্রের প্রচার ও  প্রসার নিয়ে আলোচনা সভা শিলচরে

বরাক তরঙ্গ, ২০ এপ্রিল : অসমের পুঁথি চিত্রের প্রচার এবং  প্রসার নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল শিলচরে৷ এই অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসমের বিশিষ্ট পুঁথিচিত্র শিল্পী তথা গবেষক এবং গিনেস বুকের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিল্পী সুজিত দাস৷ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘হলিস্টিক কোচিং সেন্টার’ শিলচর৷  প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রঞ্জিত দে, যোগ প্রশিক্ষক তথা জাতীয় যোগাসন বিচারক রাজেশ দাস সহ উপস্থিত অথিতিগন৷ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রঞ্জিত দে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে শিলচর শহরের বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে৷ এর মধ্যে অস্মিত পাল, ঋদ্ধি দে, পৃথা নাগ, স্বপ্নীল দে, সঞ্জনা কর প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি সুজিত দাসকে ফুলের তোড়া ও কাছাড়ের বাঁশ শীল্পের উপহার দিয়ে সংবর্ধনা জানান হোলিস্টিক কোচিং সেন্টারের রাজীব দে, সৌম্যদিপ চৌধুরী ও সুস্মিতা নাগ৷

অসমের পুঁথি চিত্রের প্রচার ও  প্রসার নিয়ে আলোচনা সভা শিলচরে

মুখ্য অথিতি সুজিত দাস উনার বক্তব্যে আসামের পুঁথিচিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বলেন, অসমের পুঁথিচিত্রে ব্যবহৃত সাচিপাতের (আগর গাছের ছাল) উল্লেখ সপ্তম শতকের কোনৌজের রাজা হর্ষবর্ধনের জীবন সম্পর্কিত গ্রন্থ হর্ষচরিতে পাওয়া গেছে। তাছাড়াও চিনি পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের চিনি গ্রন্থে সাচিপাতে এই কথা উল্লেখ আছে৷ অসমের মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেবের দ্বারা পরিবেশন করা চিহ্ন যাত্রা ভাওনায় সাত বৈকন্ঠের পট তুলাপাতে অঙ্কিত করা হয়েছিল গুরু চরিতে তার বর্ণনা পাওয়া যায়৷ অসমে প্রায় দেড় শতাধিক পুঁথিচিত্র থাকা পুথি পাওয়া গিয়েছে তার ভেতরে সত্রিয়া শৈলী, রাজ দরবারী শৈলী, লোকশৈলী ও টাই শৈলীর পুঁথি রয়েছে৷ ইতিমধ্যে জিআই টেক লাভ করা অসমের পুঁথিচিত্র নিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধা আছে৷ নতুন প্রজন্মে যদি এই চিত্রকলা কে নিয়ে এগিয়ে যায় অনেক ধরনের সুবিধা এবং অসমের এক পরম্পরাগত শিল্পকে পুনর লোকসমাজে নিয়ে আসার কাজ হবে৷

উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথি সুজিত দাস কে পুনরায় কাছার জেলার শিলচর শহরে একটি কর্মশালা আয়োজন করার প্রস্তাব রাখেন৷

Author

Spread the News