৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাতটি এপিডিসিএল কার্যালয়ে ধরনা কর্মসূচি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের

বরাক তরঙ্গ, ২ ডিসেম্বর : প্রিপেড স্মার্ট মিটার, বিদ্যুতের বর্দ্ধিত মাশুল বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে এক সভার আয়োজন করে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটি। শনিবার সভাটি শিলচরের রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থার হলে অনুষ্ঠিত হয়। নির্মল কুমার দাস ও হরিদাস দত্তের পরিচালিত সভায় প্রিপেড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীতে আন্দোলন গড়ে তোলার নানা প্রস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দীপঙ্কর চন্দ, নিখিল পাল, সাধন পুরকায়স্থ, মধুসূদন কর, সঞ্জীব রায়, ইউনিশ আলি চৌধুরী, রঞ্জিত চৌধুরী, কমল চক্রবর্তী, দুলালী গাঙ্গুলি, অরিন্দম দেব, বিশ্বজিত দাস, অসীম নাথ, গৌরাঙ্গ নাথ, খাদেজা বেগম লস্কর, হানিফ আহমেদ বড়ভূইয়া, হিল্লোল ভট্টাচার্য, চাম্পালাল দাস, ডা. এম শান্তিকুমার সিংহ, পার্থ প্রতীম দেব, সুব্রত কর, স্বপন চৌধুরী প্রমুখ।

৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাতটি এপিডিসিএল কার্যালয়ে ধরনা কর্মসূচি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের

সভায় বক্তারা বলেন সরকার ও এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এর বিরুদ্ধে গ্রাহকরা প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েছেন। গোটা রাজ্যে প্রিপেড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা, বিদ্যুতের বর্দ্ধিত মাশুল হ্রাস করা, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২২ বাতিল করা ও বিদ্যুৎ খণ্ডের বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টা বন্ধের দাবিতে পাঁচ লক্ষ গণ স্বাক্ষর সংগ্রহের যে অভিযান গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল তাতে শুধু কাছাড় জেলাতেই এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর প্রদান করেছেন। এতেই প্রমানিত হচ্ছে যে জনগণ প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে বদ্ধপরিকর। সংগঠনের রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে গোটা রাজ্যে সংগ্রীহিত গণ স্বাক্ষর আগামী ২৯ ডিসেম্বর গুয়াহাটির লক্ষীধর বরা ক্ষেত্রে একটি প্রকাশ্য গ্রাহক সমাবেশ আয়োজন করে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট প্রদানের কার্যসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজকের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে ২৯ ডিসেম্বরের গ্রাহক সমাবেশে কাছাড় জেলা থেকে শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করবেন এবং এই কাৰ্যসূচী সফল করতে এবং প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাছাড় জেলার সাতটি এপিডিসিএল কার্যালয়ে ধরনা প্রদর্শন করে স্মারকপত্র প্রদান করা হবে ও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। এছাড়াও আগামী ২৩ ডিসেম্বর শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জেলা ভিত্তিক একটি প্রতিবাদী সভার আয়োজন করা হবে।

৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাতটি এপিডিসিএল কার্যালয়ে ধরনা কর্মসূচি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের

সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে যে কোনো অবস্থায় বিদ্যুতের ব্যবহার থেকে যাতে সাধারণ মানুষেরা বঞ্চিত না হয় সে’ব্যাপারেও সরকারকে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করা যেখানে দরকার ছিল সেখানে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালু করে ঠিক উল্টোটা করা হচ্ছে। শিলচর শহরের বস্তি এলাকার বহু মানুষ মাসের শেষ দিকে রিচাৰ্জের টাকা ফুরিয়ে গেলে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। শীতকালে এই অবস্থা হলে গরমের সময়ে কি অবস্থা হবে। কারণ প্রিপেইড সিস্টেমে অগ্রিম টাকা খরচ করে রিচার্জ করতে হয় যা পরিষেবা ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছে। গ্ৰামাঞ্চলের জনগণ এমনিতেই অনলাইন ব্যবস্থায় পরিপক্ক নন তাই তাদের কাছে এই ব্যবস্থা আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকদের টাকা লুন্ঠনের এই ষড়যন্ত্ৰকে প্রতিহত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

Author

Spread the News