ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীবাহী ট্রেন সহ বিভিন্ন দাবিতে হাইলাকান্দিতে ধরনা

বরাক তরঙ্গ, ১৫ সেপ্টেম্বর : ভৈরবী-গুয়াহাটি যাত্রীবাহী ট্রেন পূজার আগেই চালু করা, ভৈরবী-শিলচর আরও একজোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন অবিলম্বে চালু করা এবং বর্তমান যাত্রীবাহী ট্রিিইেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধি করা, আগরতলা করিমগঞ্জ ডেম ট্রেন হাইলাকান্দি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভৈরবী-সাইরেং ব্রডগেজ রেল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সহ রেল পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে হাইলাকান্দি শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি শহরে ভাষা শহিদ স্মারক স্থলের সামনে ধরনা, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী সভা শেষে জেলা আয়ুক্তের মারফতে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং  এনএফ রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজারের কাছে  স্মারক পত্র প্রদান করা হয়। দাবির স্বপক্ষে স্লোগানে স্লোগানে সভার স্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা ১ টা পর্যন্ত এই ধর্ণা ও বিক্ষোভ চলতে থাকে। ভারতবর্ষের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে হাইলাকান্দি অন্যতম। এর সার্বিক বিকাশের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা অপরিহার্য বিশেষ করে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে হাইলাকান্দি জেলার রেল যাত্রী পরিষেবা অত্যন্ত অনুন্নত। বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা এবং অবহেলার শিকার হাইলাকান্দিবাসী জনগণ।  শতবর্ষ প্রাচীন হাইলাকান্দি রেলপথের যাত্রী পরিষেবার মানের উন্নয়নের পরিবর্তে অবনমন ঘটেছে। জেলার জনপ্রতিনিধি, বিধায়করা এ ব্যাপারে চরম উদাসীন ফলে যাত্রী দুর্ভোগ ক্রমশই বাড়ছে। এতদঞ্চলের আর্থসামাজিক বিকাশের জন্য যে প্রয়োজন উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সে কথা নেতা-মন্ত্রীরা বেমালুম ভুলে গেছেন। নিরুপায় হয়ে জনগণ আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। হাইলাকান্দির নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতি, জেলা ব্যবসায়ী সমিতি, স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তরসূরি সংস্থা, বরিষ্ঠ নাগরিক সংস্থা সহ অন্যান্য সংগঠনকে নিয়ে ব্রডগেজ রুূপায়ন সংগ্রাম কমিটি লাগাতার আন্দোলন করে আসছে। রেলযাত্রী পরিষেবার মান উন্নয়নে ন্যায় সঙ্গত দাবির ভিত্তিতে হাইলাকান্দি রেলস্টেশনে ধরনা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মাধ্যমে উপরোক্ত দাবি রেলওয়ে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেও সাড়া না পেয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর জেলা আয়ুক্ত ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এক সপ্তাহের মধ্যে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং কার্যকরী ভূমিকা নেবেন।

সভয় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নাগরিক সুকোমল পাল, সন্তোষ কুমার মজুমদার, নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির রঞ্জিত ঘোষ, মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভগবানদাস সারদা ও সুদীপ পাল, স্বাধীনতা উত্তরসূরী সংস্থার সজল ভট্টাচার্য,  ড্রাগ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আফজল হোসেন, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের দিলওয়ার হোসেন, ওয়ান্ট মহিলা নেত্রী ও সমাজকর্মী মাধবী শর্মা , বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক,  পরিমল পাল, আশিস দেব, কল্লোল চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ন দাস, কবি  আশুতোষ দাস, সাংবাদিক রজত পাল, অনিন্দ্য নাথ, পৃথ্বীরাজ ঘোষ বিশ্বাস, শতানান্দ ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সিটিজেন ফোরামের নারায়ণ দেবনাথ, শাহানা বেগম, রমাকান্ত শুক্লবৈদ্য, বিজয় দাস প্রমুখ।

Author

Spread the News