পিএম আবাসে প্রকৃতদের অন্তর্ভুক্তির দাবি ধনেহরিতে
বাপন লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ জুলাই : পিএম আবাসের অর্থ মঞ্জুরের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতেই সোনাইয়ে শুরু হয়েছে আলোড়ন। কে বাদ পড়েছেন, কার নাম অন্তর্ভুক্তি হয়েছে এনিয়ে প্রত্যেক জিপিতেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরে অনিয়ম হয়েছে বলে একাংশ জিপিতে অভিযোগও ওঠছে। পিএম ঘরের নামে হিতাধিকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহে কিছু দালাল প্রকৃতির লোকও সক্রিয় হয়েছেন বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ বর্ষে পিএম আবাসে আবেদন কারীদের চূড়ান্ত তালিকা অর্থ মঞ্জুর হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজকর্মের ফলে বহু আবেদন কারীর নামও বাদ পড়েছে। ভেরিফিকেশনে একাংশ অযোগ্যদের নামও কাটছাঁট হয়েছে। প্রায় ছয় বছর ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকার পর এবার অনুমোদন হয়েছে। অনুমোদনের পরেই প্রত্যেক জিপিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এতে বহু যোগ্য মানুষের নাম বাদ পড়েছে।
সোনাইয়ে সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় অসংখ্য হতদরিদ্ররা
সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের অধীন সোনাবাড়িঘাট জিপির ৬ নম্বর গ্রুপের ধনেহরি প্রথম খণ্ডে পিএম আবাস নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করেছে। বৃহস্পতিবার গ্রামের একাংশ লোক জানান, যোগ্য মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাসের লিস্ট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। হতদরিদ্র বেশ কয়েকজন মানুষের বাঁশ বেতের ঘর থাকলেও তাদের নাম আসেনি। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলেন, বহু মানুষ একাধিকবার ঘর পেয়েছেন, এবার তাদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। অবিলম্বে ছয় নম্বর গ্রুপের বঞ্চিত পরিবারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। এনিয়ে জেলা প্রশাসন ও সোনাই বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে বক্তব্য তুলে ধরেন বাপির আহমেদ চৌধুরী, হুসেন রাজা লস্কর, ইজাজুল হক চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, শামসুর উদ্দিন বড়ভূইয়া, নাজিম উদ্দিন, চান্দু মিয়া, জাহান উদ্দিন লস্কর সহ অন্যান্যরা। পিএম আবাসের ঘরে প্রকৃতদের বঞ্চিত না করার দাবিতে সরব হয়েছেন নতুন রামনগর জিপির প্রাক্তন সভানেত্রীর স্বামী গোলাম ওয়াজেদ বড়ভূইয়া। এব্যাপারে সংশ্লিস্ট বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তা ও স্থানীয় বিধায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।