ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের দ্বারা জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব : দীপায়ন চক্রবর্তী
বরাক তরঙ্গ, ৬ অক্টোবর : শিলচর সোনাই রোডের মহাপ্রভু সরনী স্থিত শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে অসম দর্শন স্কিমের ও বিধায়কের উন্নয়ন তহবিলের থেকে ছয় লক্ষ টাকার কাজের দুইটি ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করলেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সঙ্গে বরাদ্দকৃত কাজের অর্ধেকাংশ নগদ অর্থ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ সহ কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এদিন শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে উপস্থিত হয়ে মাঙ্গলিক পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ভগবান শ্রীরামের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে এবং মঠের অধীনে ভগবত গীতা প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ফলক উন্মোচনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বক্তব্যে দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, এই দেশ সনাতন ভিত্তিক দেশ, এই সনাতন ধর্মকে রক্ষা ও প্রচার করে চলেছেন সাধু-সন্তরা। বিজেপি সরকার শাসনে দেশের আসার পর সমগ্ৰ দেশের প্রত্যেকটি পুরোনো -নতুন মন্দির গুলোর উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক জন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, রাজ্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার যেভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, বিগত দিনে কোনো সরকার এইভাবে গুরুত্ব সহকারে কাজ করেন নাই,তা অকপটে স্বীকার করতে হবে।
শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী যে ভাবে শঙ্কর মঠ ও মিশনের উন্নতির কাজে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন,বিগত দিনে কোনো বিধায়ক এইভাবে এগিয়ে আসেন নাই। বিধায়কের ভূয়াসী প্রশংসা করে বলেন, দীপায়ন চক্রবর্তী হলেন একজন ধর্মপরায়ণ বিধায়ক, তিনি যতদিন বিধায়ক থাকবেন, ততদিন জনগনের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়ন হবে। এদিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন শিলচর পুরসভার বাস্তুকার মৃণাল কান্তি দে সহ শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের উপ-সভাপতি রামু প্রসাদ দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে, কোষাধ্যক্ষ সুমন মিত্র,সদস্য শঙ্কর দত্ত,প্রণব দত্ত, রূপন দত্ত, সুশীল দে, ছোটন মিত্র, বরুন দে, অমল বণিক, যীশু চৌধুরী, শিখা দে, বিউটি দে, রেনুবালা চৌধুরী সহ আরো অন্যান্যরা।

