ভাগায় সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সাবওয়ের দাবি সিপিএমের
বরাক তরঙ্গ, ১৫ সেপ্টেম্বর : ভাগা-শেরখান সড়কে রুকনী নদীর উপর ভেঙে যাওয়া সেতুটি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিল
সিপিআইএম। দলের অসম রাজ্য কমিটির সদস্য রেজামন্দ আলি বড়ভূইয়ার নেতৃত্বে ধলাই লোক্যাল কমিটির এক প্রতিনিধি দল শনিবার দুর্ঘটনা স্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই সেতুটি দক্ষিণ ধলাইয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনগণের যোগসূত্র রক্ষাকারী ছিল সেতুটি। যাকে লাইফ লাইন বলা হয়।
রেজামন্দ আলি বলেন, আগে রুকনী নদী নৌকা দিয়ে লোক পারাপার করতেন। পরবর্তীতে কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্ষায় নদীর জল রেড়ে গিয়ে কাঠের সেতুটিও ভেসে যায়। আরসিসি সেতু নির্মাণের দাবি তুলেন সিপিএম সহ এলাকার জনগণ। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে আরসিসি সেতু তৈরি হয় ২০০৩ সালে। কিন্তু শুক্রবার বিকাল থেকে এই সেতুর ওপর অত্যাধিক সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি দাঁড় করিয়ে রাখায় ও রাত ৯ টা নাগাদ অত্যাধিক পাথর বোঝাই দু’টি টিপার একই সঙ্গে পার হওয়ার সময় তিনটি গাড়ির ওজনের ভার ধরে রাখতে না পেরে সেতুটির পূর্ব দিকের অংশ ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। ছাত্রছাত্রীদের স্কুল কলেজে আসা যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রোগীকে চিকিৎসার জন্য ধলাই কিংবা অন্যত্র নিয়ে আসতে ১০/১৫ কিঃমিঃ ঘুরে আসতে হবে। এতে পরিবহণের অত্যধিক খরচে জনগণের কষ্টের সীমা থাকবে না। প্রতিনিধি দল মনে করেন এভাবে অত্যাধিক বোঝাই করা গাড়ি সেতুর উপর দাঁড় করিয়ে রাখা ও একসঙ্গে পুল অতিক্রম করার নিষেধাজ্ঞা জারি করা পূর্ত বিভাগের উচিত ছিল ও অত্যধিক বোঝাই করে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে পরিবহন বিভাগের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।কোন বিভাগই এ ব্যবস্থা নেয়নি। এতে বিভাগ দুটিসহ শেরখান রাস্তার বর্তমান কাজের ঠিকাদারের চূড়ান্ত গাফিলতি ও উদাসীনতার প্রমাণ মেলে। তাই এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসন ও সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান-অতি সত্ত্বর ভেঙে যাওয়া সেতু নির্মাণ করা, সেতু নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শক্ত সাব-ওয়ে তৈরী করে দেয়া ও সরকারি বিনামূল্যে লোক চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া। প্রতিনিধি ছিলেন পার্টির ধলাই লোক্যাল কমিটির সম্পাদক সুশীল রারৈ, জামালপুর জিপির প্রাক্তন এপি সদস্য সালেম উদ্দিন বড়ভূইয়া, রহমত আলি লস্কর, মিছির আলি মজুমদার, আব্দুল ওয়াহিদ লস্কর প্রমুখ।