বরাক তরঙ্গ, ২৫ নভেম্বর : মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের গাম্ভীর্যের মাঝেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সরভোগের বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদারের একটি ভাইরাল ফোনকল। বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ দাবির অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিত দৈমারির নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে মামলাও রুজু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বিধানসভা সচিবালয় বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছে।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফোনকলের অডিও রেকর্ডিং ভাইরাল হয়, যেখানে মনোরঞ্জন তালুকদার বলে দাবি করা এক ব্যক্তিকে হর্ষ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা দাবি করতে শোনা যায়। ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্য সরকার কণ্ঠস্বর পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে, ২০ নভেম্বর বিধানসভার এথিক্স কমিটি অডিও ক্লিপটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এখন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া অডিওটিতে শোনা যায়—
“আমি অ্যাসেম্বলির সময় আপনাকে জুলুম করিনি। এখন আমি এমএলএ হলেও জুলুম করিনি। আমার এখন একটা ‘হেভি অ্যামাউন্ট’ দরকার। ২-৩ দিনের মধ্যে লাগবে। আর হেভি লাগবে, ২-১ টাকার কথা বলিনি। কী হয় জানাবেন।”
অন্যদিকে, বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর দাবি, ভাইরাল হওয়া কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। বর্তমানে পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন। বিধানসভার নির্দেশ অনুসারে তদন্ত ও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে—ভাইরাল সেই ফোনকলের পেছনের ব্যক্তিটি প্রকৃতপক্ষে সরভোগের বিধায়ক কি না।


