বাঙালি হিন্দুদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে পরিষদ
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৯ সেপ্টেম্বর : শিলচর মালুগ্রামের এক বিবাহ ভবনে রবিবার বাঙালি পরিষদ আসামের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করে সম্মানিত করেন আয়োজকরা। সভায় সাংগঠনিক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি পরিষদকে জেলা ও আঞ্চলিক স্তরে মজবুত তথা শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসীন হলেও হিন্দু বাঙালিরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন বক্তারা জানান, অসমে ৮০ লক্ষ হিন্দু বাঙালিরা যুগ যুগান্তর ধরে বসবাস করে আসার পাশাপাশি গত ৫০০ বছর ধরে বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীর জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজ্যের সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিষদ অসমের সকল জাতি-জনগোষ্ঠিকে খিলঞ্জীয়ার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এরপরও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়ে বিষয়টিতে কর্ণপাত করেননি। বিভিন্নভাবে আসামের হিন্দু-বাঙালিরা রাজনৈতিক বলির শিকার হয়েছেন। কংগ্রেস যেভাবে প্রতারণা করে গেছে, ঠিক বিজেপিও একই পথ অবলম্বন করে আসামের হিন্দু-বাঙালিদের নানা স্বপ্ন সহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে চলছে। ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসীন হলেও হিন্দু বাঙালিরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি। শুধু তাই নয় হিন্দুদের ভোটে অসমে দু’দুবার সরকার গঠনের পরও এনআরসিতে হিন্দু বাঙালিদেরই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতেও বঞ্চিত হয়েছেন বরাক সহ ব্রহ্মপুত্রের হিন্দু বাঙালিরা।
অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে এদিন আলোচনা করার পাশাপাশি অসমে বসবাসকারী হিন্দুদের জমির পাট্টা প্রদান, ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে হিন্দু বাঙালিদের চাকরি প্রদান সহ অন্যান্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে এদিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। বর্তমান সরকারের ভূমিকায় বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে বাঙালি হিন্দুদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় বাঙালি পরিষদ অসম তাঁদের কাজকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আগামীতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।