মন্ত্রীর অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন
বরাক তরঙ্গ, ১৩ ফেব্রুয়ারি : অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্ৰতিনিধি দলের সঙ্গে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্ৰ সমালোচনা করে সংগঠনের অসম রাজ্য কমিটি এক প্রেস বার্তায় বলে যে বৰ্ধিত বিদ্যুৎ মাশুল এবং প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহারের দাবিতে দীৰ্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ২৯ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিন লক্ষাধিক জনগণের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্ৰী সংগঠনের প্রতিনিধিদের তাঁর কাৰ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান।
সংগঠনের চারজনের এক প্ৰতিনিধি দল নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাৰ্যালয়ে উপস্থিত হয়। তখন কাৰ্যালয় থেকে প্ৰতিনিধি দলকে জানানো হয় যে, বিধানসভার বাজেট অধিবেশন যেহেতু চলছে তাই বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাৰ্যালয়ে আসতে কিছু দেরি হবে ফলে প্ৰতিনিধিদের অপেক্ষা করতে হবে। অল্পক্ষণ পর মন্ত্ৰীর কাৰ্যালয়ে উপস্থিত হলেও অপেক্ষারত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে ২০/২৫ মিনিট পর বেরিয়ে যান। তখন প্রতিনিধিদের বলা হয় যে সন্ধ্যা ৫ টায় জরুরি কেবিনেট বৈঠক রয়েছে তাই বৈঠক শেষ করে মন্ত্ৰী সাক্ষাৎ করবেন। ফলে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এ’ভাবে তিন ঘন্টার বেশি অপেক্ষা করে রাত প্ৰায় ৭ টায় মন্ত্রীর কাৰ্যালয় থেকে প্ৰতিনিধিদের জানানো হয় যে, মন্ত্ৰী প্ৰতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবেন না। বিদ্যুৎ মন্ত্রীর তাঁর সুবিধা মত সংগঠনের প্ৰতিনিধিদের ডেকে নিয়ে গিয়ে তিন ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করিয়ে আলোচনায় না বসায় প্ৰতিনিধিরা আশ্চর্য হয়ে যান। মন্ত্রীর এধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ গণতান্ত্ৰিক আন্দোলন ও গণতান্ত্ৰিক রীতি নীতিকে পদদলিত করেছে।
বিদ্যুৎ এর মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে সরকার বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিচালনার লক্ষ্যে মাশুল বৃদ্ধি সহ যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির বেআইনি কাজকর্ম ও স্মাৰ্ট মিটার সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের সদুত্তর যেহেতু মন্ত্রীর কাছে নেই তাই আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েও তিনি এড়িয়ে যান। অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন জনগণের ন্যায় সঙ্গত দাবিগুলোর নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার আয়োজন করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।