ঘূর্ণিঝড়ের আগেই বাড়বে শীত! বঙ্গোপসাগরে জোড়া নিম্নচাপ, ঠাণ্ডা নিয়ে নতুন সতর্কতা

২৬ নভেম্বর : বঙ্গোপসাগরে যেন একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, সমুদ্রের উপর ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সেই ইঙ্গিত মিলতেই আবারও নতুন করে আরও একটি নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আগে রাজ্যে ঠান্ডা একটু বেশি জোরে অনুভূত হবে বলেই জানিয়েছেন আবহাবিদরা।

এ দিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ২৬ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা অনুযায়ী, সেনিয়ার তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হলেও, গতিপথ বদলে ওড়িশা বা বাংলাদেশের দিকেও যেতে পারে।

বুধবারের মধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা কমে ১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি নামতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমে ১৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে শুক্রবার থেকে পারদ ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছে ফিরে আসবে বলে ধারণা আবহবিদদের। উত্তরবঙ্গে আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা খানিক কমলেও পরবর্তী তিন-চার দিনে তা আবার একটু বাড়বে।

বঙ্গোপসাগরে এখন দুটি নিম্নচাপ সক্রিয় রয়েছে। মালাক্কা প্রণালীর নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিম–উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের দিকে অবস্থান নেবে। সেখানেই এটি ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ারে’–তে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে কোমোরিন ও শ্রীলঙ্কা উপকূলে। যদিও এই দু’টি নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব বাংলায় পড়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা থাকায় পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *