১৪ নভেম্বর : শিশু দিবস হল প্রতিটি নিষ্পাপ হাসির উদযাপন যা জাতির ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে। ২০২৫ সালে, ১৪ নভেম্বর শুক্রবার শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। এই দিনে স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর, ভারতজুড়ে শিশু দিবস অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের সাথে পালিত হয়। এই দিনটি কেবল শিশুদের খেলা, গান বা উপহার দেওয়ার জন্য নয়, বরং তাদের অধিকার, শিক্ষা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যও উদযাপন করা হয়। শিশু দিবস হল প্রতিটি নিষ্পাপ হাসির উদযাপন যা জাতির ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে।
১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের জন্য ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্র সংঘ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতেও পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ নভেম্বর দিনটিকেই পালন করা হত শিশু দিবস হিসেবে। ১৯৬৪ সালে ২৭ মে জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটিই পালিত হবে শিশু দিবস হিসেবে। শিশুদের প্রিয় চাচা (কাকা) নেহরুর জন্মদিনকেই শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকই প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটি পালন করা হয় শিশু দিবস হিসেবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেহরুর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও তিনি বাচ্চাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি চিলড্রেনস ফিল্ম অফ সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংগঠনটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য সিনেমা তৈরি করে। শিক্ষাক্ষেত্রে নানা প্রকল্প গড়ে তোলার পিছনে অবদান রয়েছে নেহরুর। তাঁর একাধিক বক্তৃতায় বারবার শিশু শিক্ষার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। তাঁর মতে, শিশুদের শিক্ষাই ঠিক করে দেয় আগামী দিন দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। শিশুরাই গড়ে তুলবে আগামীকালের ভারত।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন নেহরু। নেহরু ১৮৮৯ সালের এই দিনটিতে জন্ম নিয়েছিলেন। আর তাঁর জন্মদিনটি শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।


