ইচ্ছাশক্তির ডানায় ভর করেই অর্পিতা থেকে ড. অর্পিতা
বরাক তরঙ্গ, ২১ মার্চ : শনবিল ফাকুয়ার মেয়ে অর্পিতা দাস, ছোট থেকেই লড়াকু মানসিকতার মনোভাব নিয়ে নিজের বহিঃপ্রকাশ, লড়াকু স্বভাবকে সঙ্গে নিয়েই পড়ালেখা করার বিশেষ ইচ্ছাশক্তিই, অর্পিতা থেকে ড. অর্পিতা হয়ে উঠেছেন। জন্ম ১৯৮৯ সালে, রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার ফাকুয়া গ্রামে। ২০০৫ সালে ফাকুয়া গ্রাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০৭ সালে উচ্চতর মাধ্যমিক এই একই বিদ্যালয় থেকে। ২০১০ সালে করিমগঞ্জ রবীন্দ্র সদন মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি। ২০১২ সালে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। ২০১৩ সালে পাথারকান্দি কলেজ অফ এডুকেশন থেকে বিএড। ২০১৬ সালে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে এম.ফিল. এবং ভারতীয় তুলনা মূলক সাহিত্য বিভাগ থেকে পি. এইচ.ডি ডিগ্রি। বর্তমানে একটি সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।
তিনি তার “আমার চোখে শনবিল” এ উল্লেখ করেছেন “আমরা জানি শিক্ষা” একটা অঞ্চল উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখনকার স্থানীয় ছেলে মেয়েরা খুব অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও উচ্চ প্রাথমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে হলেই এক গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে গিয়ে পড়াশুনা করতে হয়। আর বর্ষায় সেই ক্ষেত্রে নৌকা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকে না। তাই অনেকেরই পড়াশুনা অর্ধেক রাস্তাতেই বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে মেয়েদের।” এই বাধা থাকার পর ও উন্নতির উচ্চশিখরে তিনি পৌছেছেন।
সদ্য প্রকাশিত বই নরেন্দ্রনাথ মিত্রের গল্পে মধ্যবিত্ত সমাজ, সেখানেও তিনি তুলে ধরেছেন বাস্তব জীবনের সাধারণ মানুষের কথা, আর একান্তে মেঘ বালিকা নামের কবিতার বই, জনসমাজে সাড়া ফেলেছে অনেকটাই, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে নিজের ইচ্ছাশক্তির ডানায় ভর করে তাঁর এই সুদুর পথ চলা, তিনি বিবহিত তবুও পড়েন না চড়াও করে সিঁদুর আর শাঁখা, কথায় কথায় জানা যায় সিদুর আর শাখা কে তিনি অলংকার হিসেবে ব্যবহার করেন, স্বামীর প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা সন্মান নিজের মনে থাকা, শাঁখা সিদুরে নয়, নিজের মনকে উন্নত করতে হবে, স্মার্ট ভাবে কাজ করতে পারলেই তো জীবন সুন্দর, একমাত্র ছেলে সমর্পিতই তার জীবনের পরম সম্পদ,রোজ ব্যয়াম করা উচিত এতে শারিরীক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায়, জীবনে যত দিন বেচে থাকবেন লেখা চালিয়ে যাবেন নিজের কথা তুলে ধরবেন কবিতায়, এই ছোট্ট কাহিনীই অর্পতা থেকে ডক্টর অর্পিতা হয়ে উঠার কাহিনী।