মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে রাজ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিপ্লব : মন্ত্ৰী জয়ন্ত মল্ল
কাছাড়ে খেল মহারণ ২.০-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠান_____
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ ফেব্রুয়ারি : অসম সরকারের দৃঢ় ক্রীড়ানীতির ফলে রাজ্যের ক্রীড়াঙ্গন এক নবজাগরণের সাক্ষী হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দূরদর্শী নেতৃত্বেই এই ক্রীড়া বিপ্লব সম্ভব হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন কাছাড় জেলার অভিভাবক মন্ত্ৰী তথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি, গৃহ নির্মাণ ও নগর পরিক্রমা বিভাগের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া। সোমবার লক্ষীপুরের লাবক টি গার্ডেন খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত “খেল মহারণ ২.০”-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মন্ত্ৰী মল্ল বরুয়া বলেন, “খেলাধুলা শুধু শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যম নয়, এটি চরিত্র গঠনের, নেতৃত্ব দেওয়ার এবং কঠোর পরিশ্রমের শিক্ষা দেয়। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার এক শক্তিশালী ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলছে, যা রাজ্যের খেলোয়াড়দের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। খেল মহারণ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি ক্রীড়া ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের এক আন্দোলন।”
মন্ত্ৰী মল্ল বরুয়া আরও বলেন, রাজ্যের যুবসমাজকে ক্রীড়ার মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। তিনি অলিম্পিক পদকজয়ী লাভলিনা বরগোঁহাঁই এবং দৌড়বিদ হিমা দাসের মতো খেলোয়াড়দের উদাহরণ টেনে বলেন, “অসমের প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে থাকা প্রতিভা যদি সঠিক সুযোগ পায়, তাহলে আগামী দিনে আমরা আরও অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড় পেতে পারি।”

খাদ্য, গণবণ্টন, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন মন্ত্ৰী কৌশিক রায়ও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “অসমের ক্রীড়া পরিকাঠামো বর্তমানে এক আমূল পরিবর্তনের পথে। সরকার ক্রীড়াবিদদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামো প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এই উদ্যোগ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।”

শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী স্থানীয় সংগঠক ও ক্রীড়াবিদদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বলেন, “রাজ্যের প্রতিটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের পাশে সরকার আছে। কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস থাকলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল হওয়া সম্ভব।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলার আয়ুক্ত মৃদুল যাদব বলেন, “খেল মহারণ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য এক উজ্জ্বল সুযোগ।”
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ফুটবল, কাবাডি, সাঁতার, ভলিবল, দাবা, সাইক্লিং ও অ্যাথলেটিক্স-এর বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন মন্ত্ৰী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া, মন্ত্ৰী কৌশিক রায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

উল্লেখ্য, এই বছর খেল মহারণ ২.০ প্রতিযোগিতায় আসামের ১৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং শিলচর, লক্ষীপুর, সোনাই, বদরপুরসহ বহু পুর এলাকার খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে জেলা ও জোনাল পর্যায় পার করে প্রতিযোগিতা রাজ্য স্তরে পৌঁছে। এবছর ৫৪ লক্ষ খেলোয়াড় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যা আসামের ক্রীড়া ইতিহাসে এক স্মরণীয় ঘটনা।