ভাগা-শেরখান নবনির্মিত সেতুর পুরাতন পিলারে ফাটল, উদ্বেগ
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ মার্চ : ভাগা-শেরখান সড়কের উপর নবনির্মিত সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন সেতুর পিলার ব্যবহার করে নতুন সেতু নির্মাণের সময় খাসপুর প্রান্তের পিলারে বাম পাশে বড় ধরনের ফাটল দেখা যাওয়ায় এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে ভাগা-শেরখান সড়কের রুকনি নদীর উপর থাকা পাকা সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। এরপর সরকার দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং প্রায় ছয় মাস ধরে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু নির্মাণের শুরু থেকেই পুরাতন সেতুর কাঠামো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরনো সেতুর উপরের অংশ ভেঙে ফেলে নীচের তিনটি পিলারকে নতুন সেতুর ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সময়ে নবনির্মিত সেতুর খাসপুর প্রান্তে পুরাতন পিলারটির উপর নতুন সেতুর বিয়ারিং বসানোর জায়গায় একটি বড় ফাটল নজরে আসে স্থানীয়দের। তাদের দাবি, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় পিলারটিতে এই ফাটলটি সৃষ্টি হয়েছিল। উঁচু স্থানে হওয়ার কারণে এতদিন সেটি সাধারণ মানুষের নজরে আসেনি। সম্প্রতি সেতুর উপরিভাগের একটি অংশের ঢালাইর কাজ শেষ হওয়ার পর ফাটলটি স্পষ্ট ভাবে চোখে পড়ছে। নতুন ঢালাইয়ের উপর দাঁড়ালে সেতুর বিয়ারিংয়ের কাছে স্পষ্ট একটি বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে, যা স্থানীয়দের মনে সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।
ফাটলটি দেখার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাদের বক্তব্য, পুরনো সেতুটি যখন ভেঙেছিল, তখন পুরনো বিয়ারিংয়ের কাছাকাছি অংশে এই ফাটলটি তৈরি হয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল, নতুন সেতুটি তৈরির সময় সেই ফাটল থাকা অংশের কাছেই নতুন সেতুর বিয়ারিং স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা এখন প্রশ্ন তুলছেন, এই ফাটল নবনির্মিত সেতুর স্থায়িত্বের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না। তারা এই বিষয়ে পিডব্লিউডি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন। যেহেতু পিডব্লিউডি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ চলছে, তাই স্থানীয়দের ধারণা ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি অবশ্যই অবগত আছেন। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদে এই গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটিটিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তারা। সেতুর নির্মাণকালে এই ধরনের ফাটল দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং সেতুর গুণমান ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।