অলেখিত ইমার্জেন্সি চলছে : মণিলাল গোয়ালা
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৪ ডিসেম্বর : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো, অযাচিত মন্তব্য করা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরি এসব অভিযোগে ফেসবুক পেজ “বাঙালি ভাই” এর স্বত্বাধিকারী অজয় দাসকে গ্রেফতার করেছে বাজারিছড়া থানার পুলিশ। বুধবার রাতে ১৪৯/২৫ ইউএস ৬৭ নম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ভিত্তিতে তাঁর বালিপিপলা এলাকার বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। অভিযোগ অনুযায়ী, অজয় দাস এআই এর মাধ্যমে তৈরি ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং পাথারকান্দির বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল–কে উদ্দেশ্য করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ছড়াচ্ছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টির পাথারকান্দি ও লোয়াইরপোয়া মণ্ডলের যুব ব্রিগেড এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে।বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত অজয় দাসকে শ্রীভূমি জেলা আদালতে পেশ করলে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হাজতে পাঠায়। অজয় দাসের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস ও পাথারকান্দি কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল বাজারিছড়া থানায় উপস্থিত হয়ে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায় এবং তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ কংগ্রেস নেতা পঙ্কজ নাগ পরশুরাম কানু বর্ষীয়ান নেতা জ্যোতিষ পুরকায়স্থ প্রাক্তন বিধায়ক মণিলাল গোয়ালা পাথারকান্দি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি যাদবেন্দু সিনহা রামনারায়ণ গোয়ালা, প্রমুখ।তাঁরা বাজারিছড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে অভিযোগ করেন এতে কংগ্রেসের প্রবীন নেতা প্রাক্তন বিধায়ক মনিলাল গোয়ালা বলেন যে, শাসক দল বর্তমানে তাদের ইচ্ছামতো রাজ্য পরিচালনা করছে, ফলে রাজ্যে “অসুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ” তৈরি হয়েছে কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ রাজ্যে এক অলেখিত ইমার্জেন্সি চলছে।বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা হচ্ছে।ণতন্ত্র কার্যত নাই হয়ে গেছে।তাঁরা বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ গণতন্ত্রের প্রতি বড় অবমাননা এবং এর জবাব মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দেবেন।

করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান শাহাদাত আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রে তথাকথিত “ডাবল ইঞ্জিন” সরকার আসার পর থেকেই অরাজকতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ঘরে চোর ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আরও বলেন, শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ইশারায় রাজ্যজুড়ে সিন্ডিকেট রাজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যার বিরুদ্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অথচ সরকার এবং প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল এসব অপরাধ দমন করা।
শাহাদাত চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, অপরাধ আর দুর্নীতি বন্ধের বদলে শাসক দলের নেতা কর্মীরা এখন ব্যস্ত কে কী খাচ্ছে, কে কী লিখছে, কে কোন ধর্মের এসব নজরদারি করে ভোট–মেরুকরণের রাজনীতি করতে। জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষিত হচ্ছে।


