লোপামুদ্রা চৌধুরী ও অরুণকুমারদাসের প্রয়াণে বরাকবঙ্গের শোক
বরাক তরঙ্গ, ২০ ডিসেম্বর : বরাক উপত্যকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের অগ্রণী নেত্রী শিক্ষাবিদ লোপামুদ্রা চৌধুরী এবং নৃতত্ব ও পুরাতত্ব বিষয়ে নিরলস সংগ্রাহক অরুণ কুমার দাসের প্রয়াণে গভীর শোক ব্যক্ত করেছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত ও কাছাড় জেলা সমিতির সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর এক বার্তায় এই দুই ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে সংগঠনের পক্ষে শোক ব্যক্ত করে বলেছেন, একের পর এক অগ্রণী ব্যক্তিত্বদের হারানোয় এই উপত্যকার অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ প্রয়াত নৃপতিরঞ্জন চৌধুরীর সহধর্মিনী লোপামুদ্রা চৌধুরী সংগঠনের অগ্রণী নেতার পাশে থেকে নিজস্ব ভূমিকা পালন করে গেছেন। বাহাত্তর এবং ছিয়াশির ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। ছিয়াশির একুশ জুলাই করিমগঞ্জে পুলিশের গুলি চালনা এবং জগন-যীশু শহিদত্ব বরণের মুহূর্তে অকুস্থলে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এসে লোপামুদ্রা চৌধুরী অসীম সাহস প্রদর্শন করে নজির গড়েছেন। বরাকবাসীর স্মৃতিতে সেদিনের ওই সংগ্রাম উজ্জ্বল হয়ে আছে।
একই সঙ্গে সম্মেলনের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইতিহাস ও সামাজিক নৃতত্ব, পুরাতত্ব বিষয়ক সংগ্রাহক, গঙ্গানগর নিবাসী সর্বজনশ্রদ্ধেয় অরুণকুমার দাসের প্রয়াণেও গভীর শোক ব্যক্ত করা হয়েছে বার্তায়। বঙ্গসাহিত্যের বিশেষ সম্মাননা প্রাপক প্রয়াত অরুণকুমার দাস ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে সংগ্রহশালা তৈরি করে গেছেন এটাকে রক্ষণাবেক্ষণে সচেতন বিদ্যোৎসাহীদের এগিয়ে আসার জন্য বার্তায় আবেদন জানানো হয়েছে।